আপনার জন্য অনলাইন ফটো এডিটর

আমার মনে হয় সেই দিন আর বেশি দুরে না যখন বেশিরভাগ মানুষই ওয়েব বেসড্ অ্যাপ্লিকেশনের (Web Based Application) ফ্যান হয়ে পরবে। ওয়েব বেসড্ অ্যাপ্লিকেশনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আপনি যে কোন পিসি থেকে রান করতে পারবেন (সাধারনত ব্রাউজারে)। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনি আপনার কাজ অনলাইনেও সেভ করতে পারবেন। এড়াতে পারবেন ডেস্কটপ বেসড্ অ্যাপ্লিকেশানের ইন্সটল করার মত ঝামেলাকে এড়াতে পারবেন এবং আবার ওয়েব সার্ভিসের সাথেও ইন্টারকানেক্টেড থাকতে পারবেন। নিচে আপনাদের কাছে কয়েকটি জনপ্রিয় ইমেজ এডিটর কে তুলে ধরালাম –

পিক্সএলআর

এটি খুবই জনপ্রিয় ফ্ল্যাশবেসড্ ইমেজ এডিটর যার জিআইইউ অনেকটা অ্যাডোবির ফটোশপের মতই। Pixlr API যার ডেভেলপিং এখনও চলছে, এর মাধ্যমে আপনার ব্লগের, ওয়েবসাইট অথবা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশানের সাথে পিক্সএলআরের এর একটি ইন্টারকানেকশান তৈরী করতে পারবেন। এর স্মার্ট ওয়্যান্ড টুলের সাহায্যে আপনি সহজেই সদৃশ্যমান এবং বৈশাদৃশ্যমান পিক্সেলকে অটোম্যাটিকালি সিলেক্ট করতে পারবেন (ঠিক ফটোশপের ম্যাজিক ওয়্যান্ড টুলের মত)।

pixer.us

আপনি যদি সিম্পল কোন ওয়েব বেসড্ ইমেজ এডটিং টুলের সন্ধানে থেকে থাকেন তাহলে এই টুলটি আপনার জন্যে সুইটেবল হতে পারে। এর ইন্টারফসটি খুবই সিম্পল এবং এতে আছে ইউজফুল ফটো এডিটিং ফিচার যেমন – ক্রপিং, রিসাইজিং এবং রোটেটিং। এর আরো আছে কালার অ্যাডজাস্টমেন্ট অপশন  – স্যাচিউরেশন, ব্রাইটনেস এবং কন্ট্রাস্ট অ্যাডজাষ্টমেন্ট। আপনি চাইলে আপনার কাজ PNG, JPG, GIF, অথবা BMP ফরম্যাটে সেভ করতে পারবেন।

ফটোফ্লেক্সার

ফটোফ্লেক্সার এর ফিচারের ছড়াছড়ি থাকলেও এটা ব্যবহার করা কিন্তু খুবই সিম্পল। আপনি চাইলে ফটোফ্লেক্সার এর ডেমো পজেটি দেখতে পারেন। এতে আপনি ইন্সট্যান্টলি কিছুটা হলেও এই টুলের ব্যাপারে অনেকটা আইডিয়া পাবেন। এতেও আপনি পাচ্ছেন সকল কমন ফটো এডিটিং ফিচার। এটিও ফ্লিকার, পিকাসা, ফটোবাকেট, ফেসবুক, মাইস্পেস এর সাথেও ইন্টিগ্রটেড।

স্যুমো পেইন্ট

এটি আপনাকে ইমেজ ক্রিয়েট এবং এডিটিং এর এনভাইরোমেন্ট করে দিয়েছে। ইউনিক শেপ ড্র করার জন্যে আছে এর শেপ ড্রয়িং টুল। হাই কোয়ালিটির ব্রাশের সেট, স্কেল সেট করার জন্যে ট্রান্সফর্ম টুল এবং আরো কয়েকটি ফিচার।
আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।