তৃতীয় সাবমেরিনে ১০ টেরাবিট ব্যান্ডউইথ পাবে বাংলাদেশ
সিঙ্গাপুর এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যবর্তী স্থানে যুক্ত হবে সি-মি-উই ৬ কনসোর্টিয়ামে যুক্ত হবে বাংলাদেশে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে। এই কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে কক্সবাজার হতে সিঙ্গাপুরের দিকে এবং কক্সবাজার হতে ফ্রান্সে দিকে ৫ টেরাবিট করে মোট ১০ টেরাবিট ব্যান্ডউইথ ইন্টারনেট পাবে বাংলাদেশ।
এতে যুক্ত হতে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন হতে গভীর সমুদ্রের মূল লাইনের এর দূরত্ব হবে ১৮৫০ কিলোমিটার। আর এই সংযোগের জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯০ কোটি টাকা। এর ৮৯ শতাংশ ব্যয়ই হবে শুধু ক্যাবল বাবদ।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) ডিজিবাংলা-কে এমনটাই জানিয়েছেন সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির (বিএসসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান।
তিনি জানান, সি-মি-উই ৬ কনসোর্টিয়ামে সিঙ্গাপুর-ফ্রান্স সংযোগের ক্যাবল দূরত্ব ২০ হাজার কিলোমিটারের মতো। এই ক্যাবলটিতে বাংলাদেশ ছাড়াও ১৬টি দেশ সংযুক্ত হবে। এরমধ্যে চীন থেকেই যুক্ত হবে ৩ টি কোম্পানি। ল্যান্ডিং স্টেশন থাকবে ২০টি।
মশিউর রহমান বলেন, গত বছর ১৪ সেপ্টেম্বর এই কনসোর্টিয়ামে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ। সিঙ্গাপুর-ফ্রান্স পর্যন্ত সি-মি-উই ৬ এর যে মূল রুট হবে সেটি বাংলাদেশ হতে এই ১৮৫০ কিলোমিটার দূর দিয়ে যাবে। মূলতঃ বঙ্গপসাগরের নিচে সিঙ্গাপুর-শ্রীলঙ্কার মধ্যবর্তী কোনো একটি স্থানে বাংলাদেশের নিজেদের ব্রাঞ্চ স্থাপন করা হবে। আর এ কাজটি করবে কনসোর্টিয়ামের কাজ পাওয়া কোম্পানি। আগামী এপ্রিলে ওই কোম্পানির সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি সই হবে।
বিএসসিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, খরচ ও চুক্তি নিয়ে আগামী ১৭ জানুয়ারি একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হবে। সেখানেই খরচ ও অন্যান্য বিষয় চূড়ান্ত করা হবে। এখন পর্যন্ত আমাদের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯০ কোটি টাকার মতো।
সূত্রমতে, সোমবার ( ৬ জানুয়ারি) হতে সিঙ্গাপুরে কনসোর্টিয়ামের দরপত্র মূল্যায়ন ও চূড়ান্তকরণ কার্যক্রমে যে কোম্পানি সি-মি-উই ৬ এর কাজ পাবে তারা প্রি-লে সার্ভে করবে তারপর এটি চূড়ান্ত হবে। তখন এটি ১৮১০ হতে ১৮৯০ এর মধ্যে কোনো একটা হতে পারে। এই দূরুত্বে ক্যাবল বসানোর খরচ পুরোটাই বাংলাদেশকে একা বহন করতে হবে। এদিকে কনসোর্টিয়ামের দরপত্র মূল্যায়ন বৈঠকে যোগ দিতে দেশের সোমবার ৩ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল সিঙ্গাপুরে যাওয়া প্রস্তুতি নিচ্ছে।