করোনাভাইরাস ঝুঁকি কমাতে আপনার মোবাইল ফোনটিও পরিষ্কার রাখুন

বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাস এখন এক বিশাল আতঙ্কের নাম। ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৪১টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন এই করোনাভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর তথ্যানুযায়ী দেড় লাখের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১৫ই মার্চ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫৭০০ এর বেশি।

আশা করি আপনি করোনাভাইরাসের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করছেন। বার বার হাত ধোয়া এদের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু একটা ব্যাপার কি লক্ষ্য করেছেন, যে আপনি আপনার মোবাইল ফোনটি দিনে কতবার হাতে নেন? কথা বলার সময় ফোনটি মুখের কাছেও নিতে হয়। এছাড়া ফোন ব্যবহার করে সেই হাত দিয়েই আমরা অন্য কাজ করি, এমনকি খাবার খাই, চোখ-কান স্পর্শ করি।

সমস্যাটা এখানেই। পরিবেশ থেকে আপনার হাতে বিভিন্ন রকম জীবাণু লাগতে পারে। সেই হাত দিয়ে যখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তখন সেই জীবাণু মোবাইল ফোনেও লাগে। এরপর ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া এসবে ব্যবহারকারীর সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এজন্য আপনার মোবাইল ফোনটিও যথাযথভাবে পরিষ্কার করা দরকার।

মোবাইল ফোন পরিষ্কার রাখার উপায়

মোবাইল ফোন পরিষ্কার করার আগে শুরুতেই সেটটি বন্ধ করে নিন। এটি থেকে বাহ্যিক সরঞ্জাম যেমন হেডফোন, চার্জার প্রভৃতি খুলে নিন। আপনার ফোনটি পানিরোধী হোক বা না হোক, এটি পরিষ্কার করার জন্য আপনাকে ডিভাইসটি ধুতে হবেনা। বরং ৭০% আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল জাতীয় পরিষ্কারক কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার একটা কাপড়ে লাগিয়ে সেই কাপড়টি দিতে ধীরে ধীরে আপনার ফোনটি পরিষ্কার করে নিন।

মোবাইল ফোন পরিষ্কার করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে এর পোর্টগুলোরে তরল না জমে যায়। তাহলে ডিভাইসটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

বাজারে এখন অনেক প্রকার স্যানিটাইজার পাওয়া যায় যেগুলো দিয়ে আপনার হাতের পাশাপাশি মোবাইল ফোনের মত ব্যবহার্য জিনিসপত্রও এভাবে পরিচ্ছন্ন রাখতে পারেন।

মনে রাখবেন, আপনি যদি ফোনে কভার ব্যবহার করেন, তাহলে কভার এবং ফোন আলাদাভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার করলে প্রটেক্টরের চারদিকে ভালভাবে কাপড় ও স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। কেউ কেউ বাথরুমে মোবাইল নিয়ে যায়, যেটা খুবই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস, এটা ত্যাগ করা জরুরী।

জিমেইল অফলাইন – ইন্টারনেট ছাড়াই ব্যবহার করুন জিমেইলের বিভিন্ন সুবিধা!

গত বছর গুগল তাদের জিমেইলের ওয়েব ভার্সনে নতুন ফিচার আপডেট ও টুইকস এর পাশাপাশি এতে ব্র্যান্ড নিউ অফলাইন মোড ফিচার চালু করেছে। এই জিমেইল অফলাইন ফিচার ব্যবহার করে আপনি চাইলে ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়াই আপনার পিসি ব্রাউজারে জিমেইলের বিভিন্ন সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।

জিমেইলের এই অফলাইন মোড শুধুমাত্র কম্পিউটারে গুগল ক্রোম ব্রাউজারেই কাজ করবে। তাই অন্য কোনো ব্রাউজার ব্যবহারকারী হলে এই অফলাইন ফিচার ব্যবহার করার জন্য আপনাকে প্রথমেই গুগল ক্রোম ইন্সটল করে নিতে হবে।

তো, জিমেইলে লগইন করে উপরের দিকে ডানপাশে গিয়ার আইকনটিতে ক্লিক করুন। মেন্যু থেকে সেটিংস পেইজে প্রবেশ করুন। এখন সেটিংস পেইজটির হেডার অংশের একদম ডানদিকে থাকা অফলাইন ট্যাবে যান। অথবা পিসিতে (ক্রোমে) জিমেইলে লগইন করে সরাসরি এই লিংক ভিজিট করুনঃ https://mail.google.com/mail/u/0/#settings/offline

সেখান থেকে আপনি অফলাইন মোডকে কাস্টমাইজ করে নিচে সেইভ চেঞ্জেস বাটন চাপলেই অফলাইন মোড অন হয়ে যাবে।

অফলাইন মোড কাস্টমাইজেশনের ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন আপশন পাবেন। যেমনঃ সর্বশেষ কতদিন পর্যন্ত আপনার ইনবক্স সিঙ্ক করা হবে তা নির্ধারন করে দিতে পারবেন। পাশাপাশি মেসেজগুলো কি এটাচমেন্ট সহ নাকি এটাচমেন্ট ছাড়া ডাউনলোড হবে সেটাও আপনি বাছাই করে দিতে পারেন।

জিমেইল অফলাইন

যেহেতু এক্ষেত্রে আপনার পিসির হার্ড্ড্রাইভে মেসেজ ও এটাচমেন্টগুলো ডাউনলোড হবে তাই আপনি স্টোরেজ বাঁচাতে চাইলে সর্বোচ্চ এক সপ্তাহের ইমেইল স্টোর করাই যুক্তিযুক্ত হবে।

এখানে আপনি সিকিউরিটি রিলেটেড একটা অপশনও পাবেন। আপনি যদি আপনার একাউন্ট থেকে লগআউট করেন তাহলে এটি কি আপনার পিসিতে ডাউনলোড করা ডেটা মুছে ফেলবে নাকি রেখে দিবে সেটা নির্ধারন করার ক্ষমতাও আপনার হাতেই থাকছে।

অফলাইন সেটআপ হয়ে গেলে ইন্টারনেট ছাড়া জিমেইল ব্যবহার করার জন্য কম্পিউটারের গুগল ক্রোম ব্রাউজারে mail.google.com লিংক ভিজিট করুন। এই লিংকটি বুকমার্ক করে রাখলে ভালো হয়।

অফলাইন অবস্থায় আপনি নতুন ইমেইল রিসিভ করতে পারবেন না। তবে সেন্ড করতে চাইলে ইমেইল লিখে সেন্ড অপশন বাছাই করলে সেটি আউটবক্সে জমা হবে, এবং নেট সংযোগ পেলে তখন মেইলটি ডেলিভারি হবে।

জিমেইল অফলাইন ফিচার বন্ধ করতে চাইলে প্রথমেই আপনি আপনার জিমেইল সেটিংস (https://mail.google.com/#settings/offline) থেকে এটি বন্ধ (আনচেক) করুন। এরপর ক্রোম ব্রাউজারের সেটিংস থেকে “অল কুকিজ অ্যান্ড সাইট ডেটা” রিমুভ করে দিন।

সব মিলিয়ে জিমেইলের এই অফলাইন ফিচার খুব কাজে দিবে আশা করা যাচ্ছে। বিশেষ করে যারা ব্যবসায়িক বা অফিশিয়াল কাজে লম্বা ভ্রমণ করেন তারা চাইলে চলতি পথে প্রয়োজনীয় ইমেইল লেখা ও ইনবক্স চেক করার বিষয়টা ইন্টারনেট ছাড়াই মিটিয়ে ফেলতে পারবেন।

আর হ্যাঁ, মোবাইলে জিমেইল অ্যাপে সেটিংস থেকে ইমেইল সিঙ্ক্রোনাইজ চালু করে রাখলে সেগুলোও ইন্টারনেট ছাড়া এক্সেস করতে পারবেন।

আপনি কি জিমেইল অফলাইন মোড ব্যবহার করেছেন?

বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরে ইন্টারনেট ডাটা গিফট করার পদ্ধতি

একসময় মানুষ তার প্রিয়জন বা বন্ধুবান্ধবকে বই কিংবা অন্যান্য সামগ্রী উপহার হিসেবে দিতো। যুগটাই এখন ডিজিটাল। আর এ কারণেই উপহার দেয়ার ধরনও পাল্টেছে। ইদের সালামী কিংবা ছোটখাট উপহার হিসেবে কাউকে মোবাইল রিচার্জ করে দেয়া কিংবা মোবাইল ডেটা বা টকটাইম উপহার দেয়াটা এখন খুবই স্বাভাবিক বিষয়। এই আর্টিকেলে মূলত বিভিন্ন অপারেটরে কীভাবে আপনি অন্যকে মোবাইল ডেটা উপহার দিতে পারেন সেই পদ্ধতিগুলো জানানো হবে।

শুধু উপহারই নয় বরং বিভিন্ন কারণে অন্য কাউকে অনেকসময় মোবাইল ডেটা একটিভেট করে দেয়া লাগে। আপনার বয়স্ক কোন পরিবারের সদস্য হয়তো মোবাইলে নিয়মিত ভিডিও কলে আপনার সাথে কথা বলে কিন্তু তিনি মোবাইল ডেটা একটিভেট করতে পারেন না। সেক্ষেত্রে এ পদ্ধতিতে আপনি দূরে থেকেই তাকে মোবাইল ডেটা কিনে একটিভেট করে দিতে পারছেন।

গ্রামীণফোন ইন্টারনেট এমবি গিফট

গ্রামীণফোনে আপনি ফ্লেক্সিপ্ল্যান এর মাধ্যমে কাউকে চাইলে মোবাইল ডেটা বা এমবি গিফট করতে পারবেন। মাইজিপি অ্যাপ, ফ্লেক্সিপ্ল্যান অ্যাপ কিংবা গ্রামীনফোনের ওয়েবসাইটে ফ্লেক্সিপ্ল্যান এর ওয়েব অ্যাপ ব্যবহার করে এই সেবা নেয়ে যাবে।

এক্ষেত্রে আপনি অ্যাপ কিংবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফ্লেক্সিপ্ল্যান এ প্রবেশ করে ডেটার পরিমাণ ও মেয়াদ সিলেক্ট করে গিফট করতে পারবেন। তবে আপাতত তাদের কিছু নির্ধারিত পরিমাণের মাঝেই আপনাকে বাছাই করতে হবে, নিজের ইচ্ছামত পরিমাণ বাছাই করতে পারবেন না। এরপর আপনার মোবাইল নম্বর দিলে সেখানে একটি ওটিপি আসবে যেটি পরবর্তী পেইজে বসিয়ে যাকে গিফট করতে চান তার নম্বর দিলেই হয়ে যাবে। যদি মাইজিপি অ্যাপ ব্যবহার করেন তাহলে ওটিপি দেয়ার কোন ঝামেলাও থাকছে না।

লিঙ্কসমূহঃ

রবি ইন্টারনেট এমবি গিফট

আপনি রবি ব্যবহারকারী হলে খুব সহজেই ইউএসএসডি ব্যবহার করে কাউকে মোবাইল ডেটা গিফট করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে *১২১২# ডায়াল করে পর্যায়ক্রমে ইউএসএসডি মেন্যু থেকে “গিফটিং” এবং “মোবাইল ডেটা” অপশন সিলেক্ট করতে হবে। অতঃপর আপনি নির্দিষ্ট কিছু প্যাকেজ থেকে বাছাই করে কাউকে সেই ডেটা প্যাক গিফট করতে পারবেন।

এছাড়া রবি মাইপ্ল্যান অ্যাপ ব্যবহার করে গ্রামীনফোনের ফ্লেক্সিপ্ল্যান এর মতোই মাই প্ল্যান থেকে ডেটা সিলেক্ট করে সেটি কাউকে গিফট করতে পারবেন। সেজন্য মাইপ্ল্যান থেকে ডেটা সিলেক্ট করার পর “গিফট” অপশনটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে যাকে গিফট করতে চান তার নম্বরটি দিয়ে দিন।

লিঙ্কসমূহঃ

এয়ারটেল  ইন্টারনেট এমবি গিফট

বাংলাদেশে রবি এবং এয়ারটেল মূলত একই কোম্পানি হওয়াতে রবির ন্যায় এয়ারটেলেও একই পদ্ধতিতে মোবাইল ডেটা গিফট করতে পারবেন। এয়ারটেলে ইউএসএসডি ব্যবহার করে ডেটা গিফট করার জন্য আপনাকে *১২১২# ডায়াল করে পর্যায়ক্রমে ইউএসএসডি মেন্যু থেকে “মোবাইল ডেটা” অপশন সিলেক্ট করতে হবে। অতঃপর আপনি নির্দিষ্ট কিছু প্যাকেজ থেকে বাছাই করে কাউকে সেই ডেটা প্যাক গিফট করতে পারবেন।

এছাড়া রবির মত এয়ারটেল মাইপ্ল্যান অ্যাপ ব্যবহার করে মাই প্ল্যান থেকে ডেটা সিলেক্ট করে সেটি কাউকে গিফট করতে পারবেন। সেজন্য মাইপ্ল্যান থেকে ডেটা সিলেক্ট করার পর “গিফট” অপশনটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে যাকে গিফট করতে চান তার নম্বরটি দিয়ে দিন।

লিঙ্কসমূহঃ

বাংলালিংক ইন্টারনেট এমবি গিফট

বাংলালিংকে আপনি ইউএসএসডি মেন্যু ব্যবহার করে কাউকে মোবাইল ডেটা গিফট করতে পারবেন। সেজন্য *৫০০০*৫৫# ডায়াল করে নির্দিষ্ট কিছু ইন্টারনেট প্যাক থেকে বাছাই করুন। এরপর যাকে পাঠাতে চান তার নম্বর দিলেই তার কাছে ইন্টারনেট চলে যাবে।

ইন্টারনেট এমবি গিফট – সকল অপারেটর

উপরের পদ্ধতিগুলো ঝামেলার মনে হলে একটি সাধারণ পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি যেকোন অপারেটর ব্যবহারকারী কাউকে ইন্টারনেট গিফট করতে পারবেন। তবে এজন্য আপনার একটি বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে। আপনার মোবাইলে বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করে আপনার একাউন্টে লগইন করে মোবাইল রিচার্জ অপশনে যান। এরপর যাকে গিফট করবেন তার নম্বরটি দিন। এবার টাকার পরিবর্তে অ্যাপ থেকে কোন একটি ডেটা প্যাকেজ সিলেক্ট করে দিলেই তার মোবাইলে সেই প্যাক একটিভেট হয়ে যাবে এবং আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে চার্জ কর্তন করা হবে।

মোবাইল ডাটা সাশ্রয়ে কার্যকর কিছু ট্র্যাকার অ্যাপ

মোবাইলে ডাটা ব্যবহারের হিসাব রাখা একান্ত জরুরি। এই পোস্টে আমরা এন্ড্রয়েড এবং আইওএস এর জন্য কিছু অ্যাপ সম্পর্কে জানবো, যেসব ব্যবহার করে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারের তথ্য পর্যবেক্ষণ করা যাবে। ফলে সে অনুযায়ী আপনি আপনার মোবাইল ডেটা ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। চলুন শুরু করি।

ডাটা ইউসেজ

এটি একটি নির্ভরযোগ্য ডেটা ব্যবহার ট্র্যাকিং অ্যাপ্লিকেশন যা আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ের সাথে আপনার সেট করা লিমিটে সমানভাবে ডাটা ব্যবহারে সাহায্য করে। নিয়মিত ডেটা ট্র্যাকিং এবং সতর্কতা প্রদান ছাড়াও অ্যাপটিতে এমন একটি ফিচার রয়েছে যা আপনার নিয়মিত ব্যবহারের ভিত্তিতে ডেটা সীমাতে পৌঁছানোর আগে ওয়ার্নিং প্রদান করে। যদি আপনি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ডেটা ব্যবহার করেন তবে অ্যাপটি আপনাকে অবিলম্বে সতর্ক করবে। এছাড়াও অ্যাপটিতে থাকছে উইজেট ব্যবহারের সুবিধা যার মাধ্যমে হোমস্ক্রিন থেকে খুব সহজেই আপনার ডাটা ব্যবহারের তথ্যের উপর নজর রাখতে পারবেন। অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এখান থেকে – এন্ড্রয়েড | আইওএস

মাই ডাটা ম্যানেজার

মাই ডাটা ম্যানেজার অ্যাপটি ফ্রি এবং অ্যাডবিহীন ডাটা ইউসেজ ট্র্যাকার, যা আপনার মোবাইল, ওয়াইফাই এবং রোমিং ডাটা ব্যবহারের হিসাব রাখে। আপনি চাইলে ডাটা লিমিট এবং মেয়াদ সেট করে দিতে পারবেন। অ্যাপটি সেই হিসাবে ডাটা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আপনাকে যথাসময়ে প্রদান করবে।

এর পাশাপাশি একটি সামারি ট্যাব থাকছে, যেখানে আপনার ব্যবহৃত ডাটার সমস্ত তথ্য জমা থাকবে। শেয়ারড বা ফ্যামিলি প্ল্যান এর মত সুবিধাও থাকছে এতে, যা ব্যবহার করে পুরো পরিবারের ইন্টারনেট ব্যবহার এর গতিবিধির উপর নজর রাখা ও ডাটা নিয়ন্ত্রণ করার সুবিধাও থাকছে।

অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এখান থেকে – এন্ড্রয়েড | আইওএস

ট্র‍্যাফিক মনিটর ৩জি/৪জি/৫জি স্পিড

ট্র‍্যাফিক মনিটর অ্যাপটি ডাটা ইউসেজ ট্র্যাকার এর পাশাপাশি একটি অসাধারণ স্পিড ও কভারেজ ট্র‍্যাকিং অ্যাপ এর কাজও করে।  এই অ্যাপটিতেও ডেটা প্ল্যান পিরিয়ড এবং লিমিট নির্দিষ্ট করে দেয়ার সু্যোগ থাকছে। সাথে আছে রোমিং ডাটা ইউসেজ ট্র‍্যাক করার আলাদা অপশন, যা অবাক করার মত তথ্য প্রদান করে।

এছাড়াও অ্যাপটিতে স্পিড টেস্ট ফিচার থাকছে, যার মাধ্যমে আপনার ইন্টারনেট এর গতি চেক করতে পারবেন। অ্যাপটিতে কভারেজ ম্যাপ নামে একটি ফিচার রয়েছে, যা দ্বারা আপনার এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট এর গতি সম্পর্কেও জানতে পারবেন খুব সহজেই। অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এখান থেকে – এন্ড্রয়েড | আইওএস

গ্লাসওয়্যার ডাটা ইউসেজ মনিটর

গ্লাসওয়্যার ডেস্কটপ এর জন্য একটি জনপ্রিয় নেটওয়ার্ক ইউসেজ মনিটর অ্যাপ। অ্যাপটির একটি এন্ড্রয়েড ভার্সনও রয়েছে। ডেস্কটপ ভার্সনের মতই এন্ড্রয়েড অ্যাপেও থাকছে নেটওয়ার্ক ইউসেজ ট্র‍্যাকিং এবং অ্যাপ মনিটরিং এর সুবিধা। কোন অ্যাপগুলো মোবাইল ডাটা বা ওয়াইফাই ব্যবহার করছে, তা দেখার পাশাপাশি ডাটা লিমিট অতিক্রম করার আগে সতর্কতাও প্রদান করে অ্যাপটি।

এছাড়াও রিয়াল-টাইম ডাটা ইউসেজ দেখার সুবিধাও থাকছে গ্লাসওয়্যার ডাটা ইউসেজ মনিটর অ্যাপটিতে। যখনই কোনো নতুন অ্যাপ ডাটা ব্যবহার করে, তখন অ্যাপটি আপনাকে জানিয়ে দিবে। পাশাপাশি কোনো নির্দিষ্ট অ্যাপ, যেমন ফেসবুক এর জন্য যদি আপনি আনলিমিটেড ডাটা প্ল্যান কিনে থাকেন সেক্ষেত্রে ফেসবুক অ্যাপটিকে ডাটা মনিটরিংয়ের বাইরেও রাখতে পারবেন। অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এখান থেকে – এন্ড্রয়েড

ডাটামেন নেক্সট

ডাটামেন নেক্সট অ্যাপটি শুধুমাত্র আইওএস এর জন্য। এটি খুবই সাধারণ মিনিমালিস্টিক ইন্টারফেস এর একটি অ্যাপ, যা ডাটা ইউসেজ মনিটরিং অ্যাপ হিসেবে ভালো কাজ করে। এছাড়াও অ্যাপটিতে প্রিডিকশন ফিচার থাকছে, যা আপনার বর্তমান ডাটা ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে ডাটা ব্যবহারের সীমা কখন অতিক্রম করবে তা আপনাকে জানিয়ে দেয়।

ডাটামেন একটি পেইড অ্যাপ, এটি কেনার জন্য আপনাকে ০.৯৯ মার্কিন ডলার গুণতে হবে। তবে এই অ্যাপটির ৪.৫ রেটিংস ই অ্যাপটির কার্যকরিতার প্রমাণ দেয়। অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এখান থেকে – আইওএস

বিভিন্ন ধরনের ব্যাটারি সেল

Carbon-zinc cell: সর্বাধিক ব্যবহৃত ব্যাটারি যা ড্রাইসেল নামে ও পরিচিত। লাইট, খেলনা, রেডিও, ইত্যাদিতে ব্যবহার হয়।

উপাদান: জিংক বা দস্তার সিলিন্ডার আকারের টিউব যা ক্যাথোড বা নেগেটিভ টার্মিনাল, এতে ম্যাংগানিজ ডাই অক্সাইড ও কার্বন পাউডারের মিশ্রনে আবৃত একটি কার্বন রড থাকে এনোড বা পজিটিভ টার্মিনাল হিসেবে। পানিতে দ্রবিভুত জিংক ক্লোরাইড ও এমোনিয়াম ক্লোরাইডের পেস্ট ইলেকট্রোলাইট হিসেবে ব্যবহার হয়।

Alkaline cellজিংক কারবন ব্যাটারির চেয়ে উন্নত প্রযুক্তি, দামি ও দীর্ঘস্থায়ি। ঘড়ি, পকেট ক্যালকুলেটর, খেলনা, ক্যামেরা ইত্যাদিতে ব্যবহার হয়।

alkaline

উপাদান: এনেড হিসেবে জিংক পাউডার ও ক্যাথোড হল ম্যাংগানিজ ডাই অক্সাইড পাউডার এবং ইলেকট্রোলাইট হিসেবে ব্যবহার হয় পটাশিয়াম হাইড্রক্সাইড।

Nickel-cadmium cellনিকেল ক্যাডমিয়াম ব্যাটারি সাধারন পেনসিল ব্যাটারির মতই তবে সেকেন্ডারি ব্যাটারি এগুলো চার্জ করা যায় ও বার বার ব্যবহার হয়। কর্ডলেস ফোন, খেলনা, ইমার্জেনসি লাইটি ইত্যাদিতে বেশি ব্যবহার হয়। এগুলো ১.২ ভোল্টের তাই প্রাইমারি ব্যটারির তুলনায় কম শক্তি যুগিয়ে থাকে।

Nicd

উপাদান: ক্যাথোড হিসেবে নিকেল অক্সাইড হাইড্রক্সাইড ও এনোড হিসেবে মেটালিক ক্যাডমিয়াম এর একুয়াস পটাশিয়াম হাইড্রক্সাইড ইলেকট্রোলাইট হিসেবে ব্যবহার হয়।

Nickel metal hydride battery: NiMH, নিকেল মেটাল হাইড্রাইড ব্যাটারি, নিক্যাড থেকে উন্নত এতে ক্যাডমিয়ামের বদলে হাইড্রোজেন এলয়কে শোষনকারি ইলেকট্রোড হিসেবে নেগেটিভ প্রান্তের জন্য ব্যবহার করা হয়। NiCd থেকে NiMH ব্যাটারিতে ২-৩ গুন বেশি এমপিয়ার থাকতে পারে যা দীর্ঘক্ষন বিদ্যুৎ প্রবাহ করতে সক্ষম। NiCd এ যেখানে ৬০০-৭০০ মিলিএমপহাওয়ার থাকে NiMH ব্যাটারিতে থাকে ১১০০-২৯০০ মিলিএমপহাওয়ার। ইলেকট্রিক গাড়ি, খেলনা সহ অনেক কিছুতেই এর ব্যবহার হয়।

উপাদান: NiMH ব্যাটারিতে নেগেটিভ ইলেকট্রোড এর Rare-earth বা nickel alloys [ল্যানথেনাম, সিরিয়াম, নিওডিনিয়াম, প্রাসোডাইমিয়াম এর মিশ্রন হাইড্রোজেন এলয়] হিসেবে ব্যবহার হয় ও নিকেল হাইড্রক্সাইড ব্যবহার হয় ক্যাথোড হিসেবে। এর ইলেক্ট্রোলাইট হল পটাশিয়াম হাইড্রক্সাইড।

Lithium-ion battery: বর্তমানে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, মোবাইল, ডিজিটাল ক্যামেরা, ল্যাপটপ, পামটপ, ব্যাটারিচালিত গাড়ি ইত্যাদিতে ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে।

liion

উপাদান: ক্যাথোড হিসেবে লিখিয়াম অক্সাইড ও এনোড হিসেবে কার্বন কমপাউন্ড ও গ্রাফাইট ব্যবহার হয়।

Button/Coin Cell: ঘড়ি, পকেট ক্যালকুলেটর, হিয়ারিং এইড, সিপিইউ, বিভিন্ন মিনি খেলনা ইত্যাদিতে ব্যবহার হয়। ১.৫ -৩ ভোল্ট এর হয়ে থাকে।

 বাটন সেলস

btn

বাটন সেল ইনসাইড

উপাদান: জিংক, লিথিয়াম ব্যবহার হয় ক্যাথোড হিসেবে আর ম্যাংগানিজ ডাই অক্সাইড, সিলভার অক্সাইড, কার্বন মনোফ্লুরাইড, কিউপ্রিক অক্সাইড/ মারকিউরিক অক্সাইড ব্যবহার হয় অ্যানোড হিসেবে।

Fuel cell: এই ধরনের সেল এখনো পরীক্ষাধিন, এর ইলেকট্রোলাইট এ ফুয়েল [এনোড] ও অক্সিডেন্ট [ক্যাথোড] রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিদ্যুত উতপাদন হয়। এটি ফুয়েল [সাধারনত হাইড্রোজন] থাকা কালিন পর্যন্ত অনবরত চলতে পারে, সাধারনত মহাকাশযান, গাড়ি, আবহাওয়া অফিস ও দুর্গম এলাকায় ব্যবহারের জন্য এর গবেষনা চলছে। খুব সীমিত আকারে এটি ব্যবহার হচ্ছে।

উপাদান: বিভিন্ন ধরনের হাইড্রোজেন যৌগ [ হাইড্রোকার্বন, এলকোহল] এনোড বা ফুয়েল ও ক্যাথোড [ক্লোরিন, ক্লোরিন ডাইক্সাইড] হিসেবে ব্যবহার করা হয় যেমন হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল এ হাইড্রোজেন এনোড এবং অক্সিজেন ক্যাথোড।

fuel

 ব্যাটারি আউটপুট

সিরিজ কানেকশনে ব্যাটারির ভোল্ট যোগ হবে, এমপিয়ার সমান থাকবে

প্যারালাল কানেকশনে ব্যাটারির ভোল্ট একই থাকবে, এমপিয়ার যোগ হবে

ইউনিকোডে বাংলা কিভাবে লিখবেন

আপনারা নিশ্চয় এর মধ্যে ইউনিকোড সমন্ধে জেনেছেন। কম্পিউটারে বাংলা প্রচলনের জন্য ইউনিকোড একটা অসাধারণ সুবিধা এনে দিয়েছে যা এতদিন পর্যন্ত হয়নি। সেই ৮০ এর পরে কম্পিউটারে বাংলা প্রচলন হলেও তা হয়েছে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানের উদ্দোগ্যে হয়েছে এবং তারা তাদের সুবিধামত বিভিন্ন ধরনের ফন্ট বের করেছে। কিন্তু কোন সাধারণ কোন কোড ছিলনা। ইউনিকোডে বিভিন্ন ভাষাকে প্রকাশ করবার জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু চার্ট তৈরী করেছে। এবং তার মধ্যে আমাদের প্রিয় বাংলা ভাষাও আছে। আমরা সবাই মিলে যদি একটা চার্ট তৈরী করতাম তবে সমস্যা ছিলনা। কিন্তু দুঃখ হল সেই কাজটা করল বিদেশীরা। সে যাই হোক একটা কমন প্লাটফর্ম হবার সুবিধা হবার কারণে কম্পিউটারে প্রচলনের ক্ষেত্রে সুবিধা হল। এখন যে সমস্ত সফটওয়্যার বের হচ্ছে তা বেশীরভাগই ইউনিকোর্ড সাপোর্ট করছে, ফলে সেগুলিতে বাংলা ব্যবহার করতে পারছি। আর আমাদের বেশীরভাগ বাংলা ব্যবহারকারী উইন্ডোজ ব্যবহার করেন। আর এর নতুন এক্সপি সংস্করণে বাংলা সাপোর্ট করে। মাইক্রোসফট ভৃন্দা নামে একটি ফন্ট ব্যবহার করে। তবে আপনি ইচ্ছা করলে ইউনিকোডের যে কোন বাংলা ফন্ট ব্যবহার করতে পারেন।

ইউনিকোড সমন্ধে আরো বিস্তারিত দেখুন

কিভাবে ইউনিকোডে বাংলা টাইপ করব?
ইউনিকোডে বাংলা দেখা সমস্যা না হলেও বাংলায় লিখতে আপনাকে অন্য কোন সফটওয়ারের সাহয্য নিতে হবে। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে অভ্র ও একুশে স্বাধীনতা ব্যবহার করি। দুটিই অনেকটা একই রকম। তবে দুটির কিবোর্ডের লেআউটে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। দুটিই বিজয়ের কিবোর্ডকে ভিত্তি হিসাবে ব্যবহার করেছে। আপনারা যারা বিজয় ব্যবহার করেছেন তাদের জন্য সুবিধা হবে। তবে যারা বিজয় এর কিবোর্ড মুখস্ত করেন নি তারা অক্ষর ব্যবহার করতে পারেন। অক্ষরে ইংরেজি উচ্চারণে টাইপ করে ইউনিকোডে বাংলা টাইপ করা যায়।

কম্পিউটারের ড্রাইভার সংগ্রহের সহজ পদ্ধতি ।

কম্পিউটার ফরমেট করার পর বেশ কিছু ড্রাইভার সেটাপ করার প্রয়োজন হয় । যেমন – সাউন্ড ড্রাইভার, ভিজিএ ড্রাইভার, মডেম ড্রাইভার ইত্যাদি কম্পিউটার ফরমেট করার আগে এ সমস্ত ড্রাইভার কম্পিউটার থেকে ব্যাকাপ করে নেয়া যায় ।  মাদারবোর্ডের সিডিতে কম্পিউটারের প্রয়োজনীয় ড্রাইভার দেওয়া থাকে অথবা আমরা কোনো নুতন ডিভাইচ ক্রয় করলে এর সাথে সিডি পেয়ে থাকি । এখন কোনো কারনে যদি আপনার এই সিডিগোলে খারাপ হয়ে যায় তখন ইন্টারনেট থেকে ড্রাইভার খুঁজতে হয় । ইন্টারনেট থেকে ড্রাইভার খুঁজতে এবং ডাউনলোড করতে সমস্যা হয় অনেকের । এ সমস্যাটি সমাধানের জন্য আপনি একটি সফ্টওয়ার ব্যবহার করতে পারেন । এ (Drivermax) সফ্টওয়ারটির সাহায্যে কম্পিউটার ফরমেট করার আগে সমস্ত ড্রাইভারগুলো ব্যাকাপ করে নিন । ফরমেট শেষ করার পর ঐ একই সফ্টওয়ারের সাহায্যে ড্রাইভারগুলো সেটাপ করে নিতে পারেন ।ড্রাইভারগুলো থেকে যদি কোন ড্রাইভার সেটাপ করা না যায় সে ক্ষেত্র বিকল্প পদ্ধতি অর্থাৎ ডিভাইচ ম্যানেজারে গিয়ে যে ড্রাইভারটি সেটাপ করা যায়নি সেটিকে ব্যাকাপ করা ফুল্ডার থেকে ম্যানুয়ালি সেটাপ করতে পারেন। 

২০২০ সনে যে পাঁচটি প্রযুক্তি মাতাবে বিশ্ব!

১. ক্লাউড কম্পিউটিং

প্রথমেই যে প্রযুক্তির কথা না বললেই নয়, তা হল ক্লাউড কম্পিউটিং। আমরা এক দশক ধরে দেখে আসছি যে কম্পিউটারের সব কিছুই ধীরে ধীরে ডেস্কটপ থেকে ক্লাউডে চলে যাচ্ছে। আমরা আগে ইউএসবি তে করে যে ফাইল নিয়ে ঘোরাঘুরি করতাম, তা ড্রপবক্স, ওয়ানড্রাইভ, গুগল ড্রাইভ সহ অন্যান্য ক্লাউড ভিত্তিক ফাইল সার্ভারে পরিবর্তিত হয়েছে। শুধু ক্লাউডে হোস্টিং নয়, আমরা এখন বলছি ক্লাউড কম্পিউটিং, অর্থাৎ ক্লাউডেই কম্পিউটারের প্রসেস ব্যবহার করে তথ্য প্রসেস বা হিসাব-নিকাশের ব্যাপারগুলিও ক্লাউডে হচ্ছে। আগে আমরা যে এক্সেল সহ অন্যান্য হিসাব নিকাশের সফটওয়্যার ব্যবহার করতাম তা থেকে শুরু করে ERP (Enterprise resource planning) সহ সব কিছুই এখন ক্লাউডে চলে এসেছে। সবকিছুর হিসেব থেকে জটিল এনালাইসিস সব কিছু দ্রুততার সাথে হবে এই ক্লাইড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে। ২০২০ থেকে ক্লাউড প্রযুক্তিতে যে নতুন প্রযুক্তি এর প্রয়োগ হবে তা হল Edge Computing। এর অর্থ হল শুধু মাত্র ক্লাউডের উপরই নয় প্রান্তিক পর্যায় বা Edge পর্যন্ত কম্পিউটিং হবে। এর ফলে ক্লাউডভিত্তিক সলিউশনগুলি আরো ভালো মতন ও দ্রুততার সাথে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। ২০১৮ থেকে ২০১৯ এ ক্লাউডের ব্যবহার বেড়েছে ২৪%। বৃদ্ধির হার হিসাবে সংখ্যাটি কিন্তু কম নয়। সারা বিশ্ব এখন ক্লাউডে খরচ করছে প্রায় ২১০ বিলিয়ন ডলার। গতবছর বাংলাদেশের মোট বাজেট হল ৬১ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ সারা বিশ্বের ক্লাউডের পিছনে যে টাকা খরচ করেছে তা দিয়ে বাংলাদেশ ৩ বছর চলতে পারবে। অবিশ্বাস্য ! ভাবা যায় কি পরিমান টাকা আমরা ক্লাউডেই খরচ করছি।  (তথ্যসূত্র)

২. তথ্য, তথ্য ও তথ্য

ক্লাউডের পরে ডাটা বা তথ্য-কে আমরা বলছি সব কিছুর “রাজা“। আগে যেখানে বলা হত যে দেশে সোনায় সমৃদ্ধ, সেই দেশ অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী; এখন সেই কথাটি উল্টে সোনার পরিবর্তে তথ্য -তে রূপান্তরিত হয়েছে। এখন যে দেশ কিংবা প্রতিষ্ঠানের কাছে যত বেশী তথ্য আছে- তাদের দামই সবথেকে বেশী। ফেসবুক কিংবা গুগল এরা সবাই এখন তথ্যকে কেন্দ্র করেই সবথেকে ধনী প্রতিষ্ঠান। ২০২০ তে এই তথ্য ভিত্তিক অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্ণিং, ডিপ লার্ণিং সহ অন্যান্য প্রযুক্তিগুলি। এই প্রযুক্তিগুলি একটু কাঠখোট্টা শোনালেও সহজ ভাষায় যদি বলি তবে বলব, কম্পিউটার নিজে নিজেই শিখতে পারবে, তথ্য থেকে কম্পিউটার প্যাটার্ণ বের করে পর্যালোচনা করতে পারবে, সেখান থেকেই সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এই প্রযুক্তিগুলি ব্যবহার করে উবার, ফুডপান্ডা সহ অন্যান্য তথ্য ভিত্তিক সার্ভিস আমরা কয়েক বছর ধরে দেখছি। এই বছর অন্যান্য ক্ষেত্রেগুলোতে এই তথ্যের ব্যবসা আরো বাড়বে।

৩. স্বয়ংক্রিয় গাড়ি

ঠিক সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় গাড়ি আমরা ২০২০ সনে হয়তো আশা নাও করতে পারি, তবে পর্যায়ক্রমে আমরা এইরকম গাড়ি দেখতে পারবো। বাণিজ্যিকভাবে ইতিমধ্যেই অনেক প্রতিষ্ঠান নতুন এই স্বয়ংক্রিয় গাড়িগুলো বাজারে ছেড়েছে। cars.com এ আপনারা এই স্বয়ংক্রিয় গাড়িগুলোর একটি তালিকা পাবেন। এই বছর আমরা আরো স্বয়ংক্রিয় গাড়ির বিস্তার দেখতে পারবো। এই সংক্রিয় গাড়ির উন্নয়নে ব্যবহৃত হচ্ছে কম্পিউটিং প্রযুক্তি। 

৪. ক্রিপটোকারেন্সি

আমাদের চেনাজানা ব্যাংকিং সেক্টরে এক মহা বিপ্লব হয়ে যাচ্ছে এই নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগে। আমরা এই নতুন মুদ্রাকে বলছি ক্রিপটোকারেন্সি। ক্রিপটোকারেন্সি এক ধরনের সাংকেতিক মুদ্রা যেখানে ব্লকচেইন নামে নতুন এক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। এই ক্রিপটোকারেন্সিতে তৃতীয় পক্ষের কোন নিয়ন্ত্রণ থাকে না, তাই কে কার কাছে এই ডিজিটাল মুদ্রা বিনিময় করছে তা অন্য কেউ জানতে পারে না, আবার পরিচয় গোপন রেখেও এটা দিয়ে লেনদেন করা যায়। সনাতন মুদ্রার মতন ক্রিপটোকারেন্সি মূল্যমান বা ভ্যালুর উপর কোন দেশের সরকাররেই হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা নেই। তাই পৃথিবীর অনেক দেশেই এ ডিজিটাল মুদ্রার উপর সে দেশের সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বাস্তবে এই মুদ্রার কোনো অস্তিত্ব নেই এবং অনলাইনের মাধ্যমে এই মুদ্রা লেনদেনের পুরো কার্যক্রমটি পরিচালনা করা হয়। আর এই ধরনের মুদ্রা বিনিময়ে ব্যবহার করা হয়ে থাকে ক্রিপ্টোগ্রাফি নামক একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে এমন ভাষা বা সংকেত ব্যবহার করে কোড লেখা হয়, তা লেনদেনকারী দুই পক্ষ ছাড়া অন্য কেউ বুঝতে সক্ষম হয় না, অর্থাৎ গোপনীয় থেকে যাবে। এই বছর আমরা এই ক্রিপটোকারেন্সির প্রয়োগ দেখবো। 

৫. ড্রোন ডেলিভারি

ছেলেবেলায় রোমোট গাড়ি নিয়ে কে না বাইনা করেছে। তবে গাড়ি নয়, ছোট হেলিকপ্টার বা ড্রোন দিয়ে এখন অনেকেই হয়তো ছবি তুলেছেন। কিন্তু এই ড্রোন শুধু মাত্র শখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তা প্রয়োগ করা হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। নদী ও সমুদ্রে বিপদে পড়া মানুষদের উদ্ধার থেকে শুরু করে অগ্নিনির্বাপণ সহ অনেক কিছুতেই। তবে ২০২০ সনে সবথেকে বেশী প্রয়োগ করা হবে পণ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে। আপনার কুরিয়ার সার্ভিসটি পৌঁছে যাবে আপনার দোরগোড়ায় এই ড্রোনের মাধ্যমে।

উইন্ডোজ ১০ এর গুরুত্বপূর্ণ শটকাট কি সমুহ

আমাদের কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে  শর্টকাটগুলি জানা প্রয়োজন এতে করে আমাদের কম্পিউটারের কাজ করার সময় বাঁচবে এ কাজ করতে সহজ হবে।

নিচে আমি গুরুত্বপূর্ণ কিছু শর্টকাট দিচ্ছি যা একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারিদের জন্য জরুরীঃ

Windows Open or close Start Menu.
Windows + A Open Action center.
Windows + C Open Cortana in listening mode.
Windows + D Display and hide the desktop.
Windows + E Open File Explorer.
Windows + G Open Game bar when a game is open.
Windows + H Open the Share charm.
Windows + I Open Settings.
Windows + K Open the Connect quick action.
Windows + L Lock your PC or switch accounts.
Windows + M Minimize all windows.
Windows + R Open Run dialog box.
Windows + S Open Search.
Windows + U Open Ease of Access Center.
Windows + X Open Quick Link menu.
Windows + Number Open the app pinned to the taskbar in the position indicated by the number.
Windows + Left arrow key Snap app windows left.
Windows + Right arrow key Snap app windows right.
Windows + Up arrow key Maximize app windows.
Windows + Down arrow key Minimize app windows.
Windows + Comma Temporarily peek at the desktop.
Windows + Ctrl +D Add a virtual desktop.
Windows + Ctrl + Left or Right arrow Switch between virtual desktops.
Windows + Ctrl + F4 Close current virtual desktop.
Windows + Enter Open Narrator.
Windows + Home Minimize all but the active desktop window (restores all windows on second stroke).
Windows + PrtScn Capture a screenshot and save in Screenshots folder.
Windows + Shift + Up arrow Stretch the desktop window to the top and bottom of the screen.
Windows + Tab Open Task view.
Windows + “+” key Zoom in using the magnifier.
Windows + “-” key Zoom out using the magnifier.
Windows + Ctrl + Shift + Esc Open Task Manager.
Windows + Alt + Tab Switch between open apps.
Windows + Alt + Left arrow key Go back.
Windows + Alt + Right arrow key Go foward.
Windows + Alt + Page Up Move up one screen.
Windows + Alt + Page down Move down one screen.
Windows + Ctrl + Alt +Tab View open apps
Windows + Ctrl + C Copy selected items to clipboard.
Windows + Ctrl + X Cut selected items.
Windows + Ctrl + V Paste content from clipboard.
Windows + Ctrl + A Select all content.
Windows + Ctrl + Z Undo an action.
Windows + Ctrl + Y Redo an action.
Windows + Ctrl + D Delete the selected item and move it to the Recycle Bin.
Windows + Ctrl + Esc Open the Start Menu.
Windows + Ctrl + Shift Switch the keyboard layout.
Windows + Ctrl + Shift + Esc Open Task Manager.
Windows + Ctrl + F4 Close the active window.