→ কম্পিউটারের প্রসেসরের মান বা কাজের তুলনায় স্পীড কম হলে । → কম্পিউটার র্যামের তুলনায় বেশী পরিমাণ কাজ করলে।আপনার কম্পিউটার র্যাম এর পরিমাণ কম কিন্তু আপনি অনেক বড় বড় কয়েকটি প্রোগ্রাম চালু করলেন। তাহলে তো হবেই। → কম্পিউটার হার্ডডিক্স এর কানেকশন এবং প্রসেসরের কানেকশন ঠিকমত না হলে, বার বার একই সমস্যা হতে পারে→ যদি বার বার হ্যাং হয় তাহলে Cooling Fan টা check করেন এটা স্পীডে গুরছে কিনা। → hard diskএ Bad sector থাকলে বা অন্য কোন হার্ডওয়্যারে ত্রুটি থাকলে। → অপারেটং সিস্টেমে ত্রুটি থাকলে মানে…কোনো সিস্টেম ফাইল file delete হয়ে যাওয়াকে বুঝায়। যার কারণে কম্পিউটারে সমস্যা হতে পারে। → কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে সাধারণত Hang হতে পারে।এই কারণেই কম্পিউটারে বেশী Hangহয়। আর এই ভাইরাস অপারেটিং সিস্টেমের কিছু ফাইলের কার্যপদ্ধতিকে বন্ধ করে দেয় যার কারণে কম্পিউটার প্রয়ই হ্যাং হয়। কম্পিউটারে অতি উচ্চ মানের এন্টি ভাইরাস ব্যবহার করুন। → হাই গ্রাফিক্স সম্পন্ন গেইম চালালে তখন র্যাম সম্পূর্ণ লোড হয়ে যায় এবং hang হওয়ার সম্ভনা থকে। → কম্পিউটারের ফাইলগুলো এলোমেলোভাবে সাজানো থাকলে তার জন্য hang হওয়ার সম্ভনা থকে। refresh চাপেন এবং RUN এ গিয়ে tree চাপেন।
উইন্ডোজ ১১ এর লকস্ক্রিন দেখতে বেশ সুন্দর, এটি মূলত সিস্টেম এর গেটওয়ে হিসেবে কাজ করে। লকস্ক্রিনের পর আসে লগইন স্ক্রিন যেখানে পাসওয়ার্ড/পিন প্রদান করতে হয়। অনেকের এই উইন্ডোজ ১১ এর লকস্ক্রিন পছন্দ নয়, তারা চাইলে বেশ সহজে এই লক স্ক্রিন ডিসেবল করতে পারেন।
উইন্ডোজ ১১ এর লকস্ক্রিন কেনো ডিসেবল করবেন?
উইন্ডোজ কম্পিউটারে লগিন এর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম লকস্ক্রিন চলে আসে। লকস্ক্রিনে একটি ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ, তারিখ, সময় ও অ্যাপ নোটিফিকেশন দেখানো হয়। এই লক স্ক্রিন ক্লিক করে তারপর যেতে হয় লগিন স্ক্রিনে। এটা কিছুটা সময় নিয়ে নেয়। তাই এই লকস্ক্রিন যদি আপনার কাছে বেদরকারি মনে হয়, তবে এটি বেশ সহজে ডিসেবল করতে পারবেন। লকস্ক্রিন ডিসেবল করে দিলে সরাসরি পিন/পাসওয়ার্ড স্ক্রিন দেখতে পাবেন। আবার পাবলিক কম্পিউটার এর ক্ষেত্রে লকস্ক্রিন-মুক্ত কম্পিউটার সেটাপ করতে পারবেন এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে।
লকস্ক্রিন রিমুভ করলে কিন্তু লগ-অন স্ক্রিন চলে যায়না। অর্থাৎ সিস্টেমে প্রবেশ করতে অবশ্যই পিন/পাসওয়ার্ড এর প্রয়োজন হবে। আপনি চাইলে দ্রুত অ্যাকসেস এর জন্য পিন/পাসওয়ার্ড বন্ধ করে দিতে পারেন, তবে এতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
উইন্ডোজ ১১ এর লকস্ক্রিন ডিসেবল করার নিয়ম
উইন্ডোজ ১১ এর লকস্ক্রিন ডিসেবল করার সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে তো জানা গেলো, এবার জানি চলুন উইন্ডোজ ১১ এর লকস্ক্রিন ডিসেবল করার সহজ কিছু নিয়ম।
গ্রুপ পলিসি এডিটর
উইন্ডোজ এডমিনিস্ট্রেশন টুল এর মধ্যে গ্রুপ পলিসি এডিটর একটি গুরুত্বপূর্ণ টুল। পাসওয়ার্ড রিকোয়ারমেন্টস, স্টার্টআপ প্রোগ্রামস ও অন্যান্য ফিচার এডজাস্ট করা যাবে এই টুল ব্যবহার করে। শুধুমাত্র উইন্ডোজ এর প্রফেশনাল, আল্টিমেট ও এন্টারপ্রাইজ এডিশনে এই টুল রয়েছে।
গ্রুপ পলিসি ব্যবহার করে উইন্ডোজ ১১ এর লকস্ক্রিন ডিসেবল করতেঃ
Windows Key + R Key একসাথে প্রেস করে Run কমান্ড বক্স ওপেন করুন
gpedit.msc টাইপ করুন ও এন্টার প্রেস করে গ্রুপ পলিসি এডিটরে প্রবেশ করুন
এবার বামদিকের সাইড প্যানেল থেকে Computer Configuration > Administrative Templates > Control Panel > Personalization সিলেক্ট করুন
এবার Do not display the lock screen অপশনে ডাবল ক্লিক করুন
নতুন উইন্ডোতে উক্ত অপশন ডিফল্টভাবে চালু দেখতে পাবেন, যার মানে হলো লকস্ক্রিন চালু রয়েছে
এবার Disabled বাটনে ক্লিক করে লকস্ক্রিন ডিসেবল করুন
Apply বাটনে ক্লিক করে OK সিলেক্ট করে সেটিংস সেভ করুন
এবার আপনার কম্পিউটার রিস্টার্ট করলে আর কোনো লকস্ক্রিন দেখতে পাবেন না। পাসওয়ার্ড থাকলে সোজা লগিন স্ক্রিন দেখতে পাবেন।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় দুইটি মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (MFS) হলো বিকাশ ও নগদ। উভয় সেবার অসংখ্য গ্রাহক থাকলেও অধিকাংশ গ্রাহক উভয় প্ল্যাটফর্মের মধ্যে পার্থক্যসমূহ জানেন না। উভয় মোবাইল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে প্রায় একই ধরনের সেবা পাওয়া যায়। এই পোস্টে আমরা উভয় প্ল্যাটফর্ম এর সেবাগুলোর পার্থক্য জানবো, যা থেকে কোনটি আপনার জন্য সেরা হবে তা বুঝতে পারবেন।
সেন্ড মানি
নগদ টু নগদ সেন্ড মানি এর হিসাব বেশ সহজ। একটি নগদ একাউন্ট থেকে অন্য নগদ একাউন্টে অ্যাপ এর মাধ্যমে সেন্ড মানি করা যাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। অর্থাৎ বাড়তি কোনো খরচ ছাড়া। কিন্তু নগদ মোবাইল ব্যাংকিং মেন্যু *167# ডায়াল করে সেন্ড মানি করলে সেক্ষেত্রে ৫টাকা ফি প্রযোজ্য হবে।
অন্যদিকে বিকাশে সেন্ড মানি করার একাধিক সুবিধা রয়েছে যার ফলে সেন্ড মানি ফি একেক ক্ষেত্রে একেক ধরনের হয়ে থাকে। ৫টি বিকাশ প্রিয় নাম্বারে ২৫হাজার টাকা পর্যন্ত কোনো বাড়তি ফি ছাড়া সেন্ড মানি করা যাবে। এরপর ওই সকল প্রিয় নম্বরে ৫০হাজার টাকা পর্যন্ত সেন্ড মানি এর ক্ষেত্রে ৫টাকা ও ৫০হাজার টাকার বেশি সেন্ড মানিতে ১০টাকা চার্জ প্রযোজ্য হবে।
প্রতি ক্যালেন্ডার মাসে এই পরিমাণ হিসেব করা হয়। এছাড়া ১০০টাকা বা তার কম সেন্ড মানি করা যাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। প্রিয় নম্বর ছাড়া অন্য বিকাশ নম্বরে ১০০.০১ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ৫ টাকা চার্জ হবে। ২৫০০০ টাকার বেশি পাঠালে ১০ টাকা চার্জ প্রযোজ্য হবে। প্রতি মাসে এই লিমিট রিসিট হবে।
মোবাইল রিচার্জ
বিকাশ ও নগদ, উভয় সার্ভিস একই ধরনের মোবাইল রিচার্জ এর সকল সুবিধা প্রদান করে। বিকাশ ও নগদ থেকে দেশের সকল অপারেটরে রিচার্জ করা যায়। নিজের নাম্বারের পাশাপাশি যেকোনো নাম্বারে মোবাইল রিচার্জ করার সুবিধা প্রধান করে উভয় সেবা।
ক্যাশ আউট
বিকাশ ক্যাশ আউট এর একাধিক অপশন রয়েছে। প্রথমত প্রিয় এজেন্ট নাম্বারে প্রতি মাসে ২৫হাজার টাকা পর্যন্ত ১.৪৯% চার্জ কাটে। ২৫হাজার লিমিট ক্রস করলে ১.৮৫% হারে ক্যাশ আউট চার্জ প্রযোজ্য হবে।
প্রিয় এজেন্ট নাম্বার ছাড়া যেকোনো বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে ক্যাশ আউট করলে ১.৮৫% হারে চার্জ প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ প্রতি হাজারে ১৮.৫টাকা ক্যাশ আউট চার্জ কাটবে। এই ফি অ্যাপ ও ইউএসএসডি কোড *167# উভয় এর মাধ্যমে ক্যাশ আউট এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
নগদ অ্যাপে দেশের সবচেয়ে কম ক্যাশ আউট ফি উপভোগ করা যায়। নগদ অ্যাপ থেকে ক্যাশ আউট এর ক্ষেত্রে প্রতি হাজারে ১১.৪৮টাকা ক্যাশ আউট চার্জ কাটে। নগদ ইসলামিক অ্যাপ এর মাধ্যমে ক্যাশ আউট ফি প্রতি হাজারে ১৫টাকা। অন্যদিকে সকল নগদ একাউন্টে ইউএসএসডি কোড *167# ডায়াল করে ক্যাশ আউট করা যাবে ১৫টাকা ফি এর বিনিময়ে।
বিনোদনের জন্য কিংবা কোনো তথ্য জানার ক্ষেত্রে ভিজুয়াল মাধ্যম বর্তমানে বেশ প্রভাব বিস্তার করছে। বিভিন্ন প্লাটফর্মের মধ্যে ইউটিউব এদিক থেকে অনেক এগিয়ে ও প্রচলিত। তবে শেয়ারিং ও স্ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে ভিউয়ারদের আকর্ষণের জন্য ভিডিও এডিট এবং বিভিন্ন ভিজুয়াল কনটেন্ট যুক্ত করতে হয়। এজন্য সফটওয়্যারের সহায়তা প্রয়োজন। অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস স্মার্টফোন থেকে শুরু করে উইন্ডোজ কম্পিউটার ও ম্যাকবুকের জন্যও নির্দিষ্ট কিছু এডিটিং সফটওয়্যার রয়েছে। যারা এসব প্লাটফর্মে কাজ করে তারা কিছু সফটওয়্যারের বিষয়ে জানলেও সবাই এ বিষয়ে অবগত নয়। তাই যারা বর্তমানে বা ভবিষ্যতে ইউটিউব প্লাটফর্মে কনটেন্ট নিয়ে কাজ করতে চাইছে বা করছে তাদের এডিটিংয়ের সফটওয়্যারগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া ভালো।
উইন্ডোজের ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
বাসায় বা কর্মস্থলে ব্যবহারের দিক থেকে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের প্রচলন বেশি। পেশাদার কাজে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ব্যবহারকারী পছন্দের সফটওয়্যার নির্বাচন করে। পাশাপাশি এডিটিংয়ের সময় তারা বেশি ফিচারকে প্রাধান্য দেয়।
ওয়ান্ডারশেয়ার ফিলমোরা: ফিচার, বৈশিষ্ট্য, সুবিধার দিক থেকে প্রথমেই রয়েছে ওয়ান্ডারশেয়ার ফিলমোরা। পেশাদার পর্যায়ে ভিডিও এডিটিংয়ের ক্ষেত্রে এটি বেশ জনপ্রিয়। অ্যাপটিতে ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপ ফিচার রয়েছে। এ কারণে এডিটিং প্যানেলে সহজেই একাধিক ফাইল যুক্ত করা যাবে। এতে ভিডিওর বিভিন্ন অংশ কাটা, ছবি, সাউন্ড ইফেক্ট, মাস্কিং, কিফ্রেমিংয়ের সুবিধা রয়েছে। এতে স্পিড র্যাম্পিং রয়েছে, যার মাধ্যমে ভিডিও প্লেব্যাকের পাশাপাশি চরিত্রের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে এর নেতিবাচক দিক হলো ম্যাক ব্যবহারকারীদের জন্য ইনস্ট্যান্ট মোডটি নেই। ট্রায়াল ভার্সনে অ্যাডভান্সড ফিচারও সীমিত।
সনি ভেগাস প্রো: ইউটিউবকেন্দ্রিক ভিডিও এডিটরদের কনটেন্ট নির্মাণ ও প্রচারণার জন্য সনি ভেগাস প্রো অন্যতম একটি সফটওয়্যার। এতে সাধারণ সফটওয়্যারের মতো ক্রপ, ট্রিম, মার্জসহ বিভিন্ন ফিচার রয়েছে। সফটওয়্যারটি অডিও ফাইলকে সহজে অপটিমাইজ করতে সক্ষম। তবে এ সফটওয়্যার সহজে ব্যবহার করা যায় না এবং এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত পোর্ট্রেইট অল্টারনেটিভ নেই। এ কারণে দ্রুত এডিট করা সম্ভব হয় না।
অ্যাডোবি প্রিমিয়ার প্রো: ভিডিও এডিটিংয়ে সবচেয়ে বেশি সুবিধা বা ফিচার অ্যাডোবি প্রিমিয়ার প্রোতে রয়েছে। ক্রিয়েটিভ ক্লাউডের সহায়তায় ব্যবহারকারীরা প্রিমিয়ার প্রো ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন নতুন ভিডিও প্রজেক্ট ও উচ্চমানের ফুটেজ তৈরি করতে পারবে। এতে ১০০ জিবি ক্লাউড স্টোরেজ সুবিধাও রয়েছে। সফটওয়্যারটিতে শুধু অ্যাডোবি পণ্য ও টুল ব্যবহার করা যাবে। সেই সঙ্গে ক্রিয়েটিভ ক্লাউডের টুলস ব্যবহারের জন্য আলাদা অর্থ দিতে হবে।
কম্পিউটারের স্টোরেজ কেনার ক্ষেত্রে ব্যবহার এবং কাজ এর উপর ভিত্তি করে নির্বাচন করা উচিত কোনটা কেনা ভাল হবে । হার্ডডিস্ক, এসএসডি এবং এসএসএইচডি এর মধ্যে কিছু পার্থক্য এবং সুবিধা নিচে দেয়া হল ।
১। গতিঃ
হার্ডডিস্ক (HDD) এর ফাইল রিড-রাইট টাইম গড়ে ৫০ থেকে ১২০ মেগাবাইট পার সেকেন্ড।
এসএসডি (SSD) এর রিড-রাইট টাইম প্রতি সেকেন্ডে গড়ে ২০০ থেকে ৫৫০ মেগাবাইট পার সেকেন্ড।
২। শব্দ এবং কম্পনঃ
হার্ডডিস্কের / এসএসএইচডির (SSD / SSHD) প্লেটার ঘুরার কারণে কিছু শব্দ হয়।
এসএসডিতে (SSD) কোন গতিশীল যন্ত্র নেই বলে শব্দ হয় না।
৩। স্থায়িত্বঃ
হার্ডডিস্ক (HDD) এর স্থায়িত্ব এসএসডি এর থেকে কম। এসএসএইচডি (SSHD) এর স্থায়িত্ব খুব ভালো কারন এসএসএইচডি তে এসএসডি এবং এসডিডি এর কম্বিনেশন থাকে । এসএসডি (SSD) এর স্থায়িত্ব সব থেকে বেশি বলে মনে করা হয় ।
৪। নির্ভরশীলতাঃ
হার্ডডিস্ক (HDD), এসএসডি (SSD) এবং এসএসএইচডি (SSHD) এর মধ্যে এসএসডি (SSD) কে সব থেকে নির্ভরশীল হিসেবে ধরা হয় । কারন হার্ডডিস্ক অথবা এসএসএইচডি তে স্টোরেজ বা ডেটা নষ্ট হওয়ার একটা সম্ভবনা থাকে। কিন্তু এসএসডিতে সংরক্ষিত ডেটা নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা খুবই কম ।
৫। ধারণক্ষমতাঃ
হার্ডডিস্ক (HDD) এর ধারণক্ষমতা ১০ টেরাবাইট পর্যন্ত। এসএসএইচডি (SSHD) এর ধারণক্ষমতা সর্বোচ্চ ৮ জিবি পর্যন্ত। এসএসডি (SSD) এর ধারণক্ষমতা সর্বোচ্চ ৪ টেরাবাইট পর্যন্ত।
গুগল মিটে এখন থেকে বিনা মূল্যে ৬০ মিনিট বা ১ ঘণ্টা পর্যন্ত ভিডিও কলের সুবিধা পাওয়া যাবে।
গুগল বলছে, ভিডিও কলে ৫৫ মিনিট হয়ে যাওয়ার পর অংশগ্রহণকারীদের কাছে একটি নোটিফিকেশন যাবে। ভিডিও কলের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য যিনি ভিডিও কলের হোস্ট তাকে জিমেইল অ্যাকাউন্টটি নতুন ভার্সনে আপডেট করতে হবে। তবে যেকোনো ফ্রি এবং পেইড জিমেইল ব্যবহারকারী ওয়ান-অন-ওয়ান ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত গুগল মিটে ভিডিও কলের সুবিধা পাবেন।
বেশিরভাগ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী নিজের ফোনকে সুরক্ষিত রাখতে ফোনের উপর স্ক্রিন গার্ড বা স্ক্রিন প্রটেক্টর লাগান। তবে অনেকেরই জানা নেই, থার্ড পার্টি স্ক্রিন গার্ড ব্যবহার করলে তা ফোনকে সুরক্ষিত রাখাতো দূর, তার ক্ষতিই বেশি করে!
সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টের বরাতে জেএসনিউজ টাইমস জানায়- স্মার্টফোনের স্ক্রিনের তলায় দুটি সেন্সর থাকে যেগুলোর নাম অ্যাম্বিয়েন্ট লাইট এবং প্রক্সিমিটি। বাইরে গেলে রোদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্ক্রিনের ব্রাইটনেস স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়ে বা কমে এই অ্যাম্বিয়েন্ট লাইট সেন্সরের সাহায্যে। বেশি রোদে বের হলে স্ক্রিন বেশি উজ্জল হয় যাতে সবকিছু ঠিকভাবে দেখা যায়। কম উজ্জ্বল স্থানে স্ক্রিনের ব্রাইটনেস স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমিয়ে দেয় এই সেন্সর। অন্যদিকে, লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, কানে ফোন লাগিয়ে কথা বলার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ক্রিনের লাইট নিভে যায়। কানের সঙ্গে দূরত্ব বুঝে এই লাইট জ্বলে বা নেভে। এই কাজটি করে প্রক্সিমিটি সেন্সর।
অ্যাম্বিয়েন্ট লাইট বা প্রক্সিমিটি ফোনের বাইরে থেকে দেখা যায় না।
তবে ফোনের কার্যক্রমে এদের অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু, স্ক্রিন-গার্ড লাগালে এ দুটি সেন্সর গার্ড হয়ে যায়। যার কারণে অনেক সময় স্ক্রিনের ‘টাচ’ কাজ করে না। তাছাড়া থার্ড পার্টি স্ক্রিন গার্ড ব্যবহারের ফলে অনেক ক্ষেত্রেই ইন-ডিসপ্লে ফিংগারপ্রিন্ট সেন্সরও কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
এ কারণে বিশেষজ্ঞদের মত, স্ক্রিন গার্ড যদি একান্তই লাগাতে হয় তাহলে কোনও ব্র্যান্ডেড স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার করা উচিত। সবচেয়ে ভালো হয়, যে কোম্পানির ফোন, সেই কোম্পানির স্ক্রিন গার্ড ব্যবহার করতে পারলে। সেক্ষেত্রে স্ক্রিন গার্ড সেভাবেই তৈরি হয় যাতে সেন্সর কোনভাবে আটকে না যায়। তাতে ফোনেরও ক্ষতি হয় না।
ভিডিও কনফারেন্সিং এর ব্যবহার দিনদিন বেড়েই চলেছে। গুগল এর গুগল মিট একটি আদর্শ ভিডিও কনফারেন্স টুল। সাধারণ সব ফিচার এর পাশাপাশি বাড়তি সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে গুগল মিট অন্যসব ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ থেকে নিজেকে আলাদা করতে সক্ষম হয়েছে।
চলুন জেনে নেয়া যাক, গুগল মিট কীভাবে ব্যবহার করবেন এবং এটি আপনার ব্যবহারের ভিত্তিতে কার্যকরী সমাধান কি না।
গুগল মিট কী?
গুগল মিট হলো গুগল এর ব্যবসা-ফোকাসড ভিডিও কনফারেন্সিং টুল। গুগল মিট এর পূর্ববর্তী নাম ছিলো গুগল হ্যাংআউটস মিট। গুগল মিট এ গুগল চ্যাট ও গুগল হ্যাংআউটস এর ভিডিও চ্যাট ফিচার এর পাশাপাশি রয়েছে অংসখ্য এন্টারপ্রাইজ লেভেলের ব্যবহারযোগ্য ফিচার।
এসব এন্টারপ্রাইজ ফোকাসড ফিচারগুলো ক্ষুদ্র কিংবা বৃহৎ ব্যবসাগুলোর জন্য আদর্শ সমাধান তবে বর্তমানে গুগল মিট ব্যবসার পাশাপাশি স্কুল এর জন্যও ব্যাপক পরিমাণে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়াও জুম অ্যাপকে অনেকেই ট্রাস্টেড মনে করেন না। তাদের জন্য গুগল মিট ভিডিও কনফারেন্সিং টুল হিসেবে প্রথম পছন্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গুগল মিট কি ফ্রি?
কিছু লিমিটেশনসহ গুগল মিট যে কেউ বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারে। ফ্রিতে ব্যবহারকারীগণ সর্বোচ্চ ১০০জনকে নিয়ে একটানা ১ঘন্টার মিটিং এ অংশ নিতে পারবেন।
অন্যদিকে গুগল জি-স্যুট ব্যবহারকারীরা এই ক্ষেত্রে পাবেন বিশাল সুবিধা। জি-স্যুট ব্যবহারকারীগণ একটানা ৩০০ঘন্টা ও সর্বোচ্চ ১৫০জনকে নিয়ে একটি মিটিং এ অংশগ্রহণ করতে পারেন। এছাড়াও ডোমেস্টিক ও ইন্টারন্যাশনাল কল-ইনস ও কাস্টমার সার্ভিস সুবিধাও পাবেন জি-স্যুট ব্যবহারকারীগণ।
জি-স্যুট এন্টারপ্রাইজ ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে এই সুবিধার মাত্রা আরো বেশি। জি-স্যুট এন্টারপ্রাইজ ব্যবহারকারীগণ গুগল মিট এ একটানা ৩০০ঘন্টা ও সর্বোচ্চ ২৫০জনকে নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। থাকছে অসংখ্য এক্সট্রা ফিচারস, যেমনঃ ইন্টেলিজেন্ট নয়েস ক্যান্সেলেশন, গুগল ড্রাইভে মিটিং এর রেকর্ডিং সংরক্ষণ, সিকিউরিটি ফিচারস, ইত্যাদি।
গুগল মিট ব্যবহারের নিয়ম
গুগল এর অন্য দশটি সার্ভিস এর মত গুগল মিট ব্যবহার করাও অন্তত সহজ। অল্প কিছু সময় ব্যয় করে যে কেউই গুগল মিট সম্পর্কে বেসিক ধারণা অর্জন করতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক, গুগল মিট কীভাবে ব্যবহার করতে হয়।
গুগল মিট এ মিটিং তৈরী করার নিয়ম
গুগল মিট এ মিটিং তৈরী করা অত্যন্ত সহজ। এইজন্য আপনার দরকার পড়বে একটি গুগল একাউন্ট এবং ইন্টারনেট সংযোগের।
ইন্সটল এর পর অ্যাপ ওপেন করে কাঙ্খিত জিমেইল একাউন্ট দ্বারা লগিন করুন
New Meeting এ ক্লিক করলেই নতুন মিটিং চালু হয়ে যাবে
একটি মিটিং তৈরীর পর অটোমেটিক একটি লিংক জেনারেট হয়, যা ব্যবহার করে অন্যান্য পার্টিসিপেন্টরা মিটিং এ জয়েন করতে পারে। গুগল ক্যালেন্ডার বা জিমেইলে শিডিউল থাকা মিটিং এ ইনভাইটেড থাকা ব্যক্তিদের কাছে লিংক স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে যাবে।
গুগল মিট এ মিটিং জয়েন করার নিয়ম
গুগল মিট এ মিটিং এ জয়েন করা দুনিয়ার সবচেয়ে সহজ কাজগুলোর মধ্যে একটি। গুগল মিট এ মিটিং এ জয়েন করতেঃ
Start A Meeting বা New Meeting এর পাশে থাকা Join Meeting এ ক্লিক করুন
মিটিং কোড টাইপ করে এন্টার চাপলেই মিটিং এ জয়েন হয়ে যাবে
এছাড়াও হোস্টের পাঠানো মিটিং লিংক ব্যবহার করে এক ক্লিকেই মিটিং এ জয়েন করা যায়
গুগল মিট এর সেটিংস সমূহ
মিটিং তৈরী ও মিটিং এ জয়েন করার পাশাপাশি গুগল মিট এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেটিংস ও কাস্টমাইজেশন সম্পর্কে জানা সকল ব্যবহারকারীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কিছু ফিচার শুধুমাত্র জি-স্যুট ব্যবহারকারীদের জন্য হলেও, অধিকাংশ ফিচারই বিনামুল্যে ব্যবহায়ার সম্ভব।
ভিডিও কনফারেন্স এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কীভাবে পার্টিসিপ্যান্টদের প্রদর্শিত করা হয়। একটি মিটিং এ ডিফল্টভাবে এটি Auto তে সেট করা থাকে। অর্থাৎ কতজন মিটিং এ পার্টিসিপ্যান্ট বা অংশগ্রহণ করছেন ও কথা বলছেন, তার উপর ভিত্তি করে অটোমেটিক লেআউট তৈরী হয়ে যাবে।
এই ব্যাপারটির সরাসরি কাস্টমাইজেশন করতে চাইলে, তিন ধরনের বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছেঃ
টাইলডঃ ছোট ছোট টাইলে ১৬জন পার্টিসিপ্যান্টকে দেখানো হয়। বাকিদের মধ্যে কেউ যদি প্রেজেন্ট করে থাকে,তবে সাইডবারে প্রদর্শিত হয়
স্পটলাইটঃ শুধুমাত্র প্রেজেন্টেশন বা এক্টিভ স্পিকারকেই স্ক্রিনের দেখানো হউ
সাইডবারঃ প্রেজেন্টেশন বা এক্টিভ স্পিকারকে মাঝখানে রেখে পাশে ছোট ছোট টাইলসে অন্যান্য পার্টিসিপ্যান্টদের প্রদর্শিত করা হয়
এছাড়াও পার্টিসিপ্যান্ট পিন করার সুবিধাও থাকছে, যার মাধ্যমে চাইলেই নির্দিষ্ট পার্টিসিপ্যান্টকে স্ক্রিনের মাঝখানে রাখা যায়। মিটিং এর অংশগ্রহণকারী নিজেদের মাইক চাইলে মিউট করতে পারে। এছাড়াও যিনি মিটিং তৈরী করেছেন, তিনিও চাইলে যে মিটিং এ অংশগ্রহণরত যে কাউকে মিউট করতে পারেন।
গুগল মিট এর একটি সবচেয়ে অসাধারণ ফিচার হচ্ছে লাইভ ক্যাপশন। স্ক্রিনের নিচেরদিকে থাকা Turn on captions বাটন চাপলেই স্পিকার এর কথার ক্যাপশন প্রদর্শিত হবে। তবে আপাতত এই ফিচারটি শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষাতেই ব্যবহারযোগ্য।
গুগল মিট এ প্রেজেন্ট করার নিয়ম
ভিডিও মিটিং যোগাযোগের অসাধারণ মাধ্যম, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে মিটিং এ মাঝেমধ্যে সব অংশগ্রহনকারীদের কোনোকিছু দেখানোর প্রয়োজন পড়তে পারে। অন্যসব ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ এর মত মিটিং চালাকালীন গুগল মিটেও প্রেজেন্টেশন দেখানো সম্ভব।
আপনার স্ক্রিন শেয়ার করতে স্ক্রিনের নিচের দিকে থাকা Present Now এ ক্লি করুন। চাইলে আপনি আপনার সম্পূর্ণ স্ক্রিন, একটি নির্দিষ্ট উইন্ডো বা ক্রোম ট্যাব প্রেজেন্টেশন হিসাবে দেখাতে পারবেন। আপনি যদি ভিডিও বা এনিমেশন দেখাতে চান, সেক্ষেত্রে ক্রোম ট্যাব সিলেক্ট করার পরামর্শ দেয় গুগল।
পেজের নিচের দিকে থাকা Change Source অপশনটি ব্যবহার করে আপনি অন্য ক্রোম ট্যাব প্রেজেন্ট করতে পারবেন। Stop Presenting এ ক্লিক করলে প্রেজেন্টেশন অফ হয়ে যাবে।
গুগল মিট এ চ্যাট করার নিয়ম
আপনি যদি স্ক্রিন শেয়ারিং বা কথা বলার মাধ্যমে কনফারেন্সে কলে সমস্যার সঞ্চারন না চান, সেক্ষেত্রে আপনি চ্যাট ফিচারটিও ব্যবহার করতে পারেন। উপরে ডানদিকে থাকা ছোট চ্যাট আইকনে ক্লিক করার মাধ্যমে চ্যাট করার অপশন দেখতে পাবেন৷ কোনো রিসোর্স শেয়ারিং কিংবা প্রশ্নোত্তরের ক্ষেত্রে এই চ্যাট ফিচারটি দারুণ কার্যকর।
গুগল মিট টুলস
জি-স্যুট ব্যবহারকারীগণরা গুগল মিট এ অসংখ্য প্রয়োজনীয় ফিচার ব্যবহার করতে পারেন। তবে ফ্রিতে যারা গুগল মিট ব্যবহার করেন, তারা এসব ফিচার থেকে বঞ্চিত হন।
আপনি চাইলে বিভিন্ন ক্রোম এক্সটেনশন ব্যবহার করে গুগল মিট এ বিনামূল্যে অসাধারণ সব ফিচার এড করতে পারবেন। গুগল মিট এর দরকারী ৯টি ফ্রি টুল সম্পর্কে জানুন এই লিংক থেকে।
গুগল মিট সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্নসমূহ ও উত্তর
গুগল মিট কি আইফোন ও আইপ্যাডে কাজ করে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, গুগল মিট আইফোন ও আইপ্যাডে কাজ করে। অ্যাপ স্টোর থেকে গুগল মিট অ্যাপ ডাউনলোড করে যেকেউ আইফোন ও আইপ্যাডেও গুগল মিট ব্যবহার করতে পারবেন।
গুগল মিট ও গুগল হ্যাংআউটস কি একই? গুগল ডুয়ো এর সাথে সেবা দুটির কোনো সম্পর্ক আছে কি?
উত্তরঃ বর্তমানে গুগল এর তরফ থেকে আসা প্রধান ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ হলো গুগল মিট। গুগল হ্যাংআউটস কে ইতিমধ্যেই বাদ করে দিয়েছে গুগল। অন্যদিকে গুগল ডুয়ো হলো মেসেঞ্জার বা হোয়াটসঅ্যাপ এর মতো চ্যাটিং ও ভিডিও কলিং অ্যাপ।
গুগল মিট এর মিটিং কি রেকর্ড করা যায়?
উত্তরঃ শুধুমাত্র জি-স্যুট এন্টারপ্রাইজ ও এন্টারপ্রাইজ ফর এডুকেশন ব্যবহারকারীগণ গুগল মিট এ মিটিং রেকর্ড করতে পারবেন। রেকর্ডিংসমূহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে গুগল ড্রাইভে সংরক্ষিত হয়।
গুগল মিট কি নিরাপদ ও সুরক্ষিত?
উত্তরঃ কম্পিউটার ও মোবাইল, উভয় প্ল্যাটফর্মেই গুগল মিট এর মিটিংসমূহ এনক্রিপটেড থাকে। সুতরাং, গুগল মিটকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত বলা যায়। মিটিং বোম্বিং এর মত ঘটনা প্রতিরোধে গুগল মিট এর মিটিং এ পাসওয়ার্ড ও সেট করা যায়।
ফোনে মেসেজিং এর মাধ্যম হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার সম্বন্ধে জানেন না, এমন মানুষ কমই আছেন। ১ বিলিয়নেরও অধিক ব্যবহারকারী নিয়ে বিশ্বের প্রথম অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা খুবই সহজ। তবে কম্পিউটারে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার নিয়ে এখনো জটিলতায় ভুগেন অনেক ব্যবহারকারী। চলুন জেনে নেয়া যাক, কীভাবে কম্পিউটারে বা পিসিতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করবেন।
কম্পিউটারে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে হলে ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ থাকতে হবে। আপনি যদি কম্পিউটারে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে চান, তবে আগে অবশ্যই আপনার ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্টে সাইন-ইন করে নিন।
ফোনে হোয়াটসঅ্যাপে সাইন ইন হয়ে গেলে, কম্পিউটারে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করুনঃ
আপনি যদি এন্ড্রয়েড ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন, তবে নিচের পদ্ধতিটি অনুসরণ করুনঃ
আপনার ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ ওপেন করুন
Chats ট্যাবে যান, ডানদিকের টপ কর্নারে থাকা থ্রি-ডট এ প্রবেশ করলে একটি ড্রপডাউন মেনু দেখতে পাবেন
উল্লেখিত মেন্যু হতে WhatsApp Web নির্বাচন করুন
কম্পিউটারে যেকোনো একটি ব্রাউজারে প্রবেশ করুন ও web.whatsapp.com সাইটে ঢুকুন
এরপর আপনার ফোনে প্রদর্শিত কিউ-আর কোড স্ক্যানার এর মাধ্যমে কম্পিউটারে প্রদর্শিত কোডটি স্ক্যান করুন
স্ক্যান সফলভাবে সম্পন্ন হলে, কম্পিউটারে আপনার ফোনে থাকা সকল চ্যাট দেখতে পাবেন। এর পাশাপাশি কম্পিউটার থেকেও ফোনের মতই ডেস্কটপ ব্যবহার করতে পারবেন।
আপনি যদি আইফোনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন, তাহলে নিচের পদ্ধতিটি অনুসরণ করুনঃ
আপনার আইফোনে হোয়াটসঅ্যাপ ওপেন করুন
Settings ট্যাবে যান
WhatsApp Web নির্বাচন করুন
কম্পিউটারে যেকোনো একটি ব্রাউজারে প্রবেশ করুন ও web.whatsapp.com সাইটে ঢুকুন
এরপর আপনার ফোনে প্রদর্শিত কিউ-আর কোড স্ক্যানার এর মাধ্যমে কম্পিউটারে প্রদর্শিত কোডটি স্ক্যান করুন
স্ক্যান সফলভাবে সম্পন্ন হলে, কম্পিউটারে আপনার ফোনে থাকা সকল চ্যাট দেখতে পাবেন। এর পাশাপাশি কম্পিউটার থেকেও ফোনের মতই ডেস্কটপ ব্যবহার করতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ ডেস্কটপ অ্যাপ ব্যবহারের নিয়ম
ডেস্কটপের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ এর অ্যাপ বিদ্যমান। হোয়াটসঅ্যাপ ডেস্কটপ অ্যাপ ডাউনলোড করতে এই লিংকে প্রবেশ করুন। হোয়াটসঅ্যাপ ডেস্কটপ অ্যাপটি উল্লিখিত নিয়মেই ব্যবহার করতে পারবেন।
কম্পিউটারে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের বহুমুখী সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে, কম্পিউটার থেকেও ফাইল শেয়ার করার সুবিধা। এছাড়াও আপনার কম্পিউটারে ওয়েব ক্যাম যুক্ত থাকলে সেটি ব্যববার করে ছবি আদান-প্রদান ও করতে পারবেন। পাঠানো যাবে ভয়েস মেসেজ ও। ফোন পকেটে রেখেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার হচ্ছে কম্পিউটারে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের মূল সুবিধা।
কম্পিউটারে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার এর সুবিধাসমূহ
কম্পিউটারে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার এর অসুবিধাসমূহ
কম্পিউটারে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ওয়েব ভিত্তিক হওয়ায় ইন্টারনেট কানেক্টেড না থাকলে কম্পিউটারের হোয়াটসঅ্যাপে পূর্ববর্তী চ্যাট দেখা সম্ভব নয়। থাকছেনা এড্রেস বুক থেকে কাউকে ইনভাইট করার সুবিধা। কম্পিউটারের হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাপ বা লোকেশন শেয়ারিং ও সম্ভব নয়।
চলুন জেনে নেয়া যাক, জন্ম নিবন্ধন যাচাই, সংশোধন ও অনলাইন কপি ডাউনলোড সম্পর্কিত তথ্য।
জন্ম নিবন্ধন কি?
জন্ম নিবন্ধন হলো জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ২৯ নং আইন) এর আওতায় একজন মানুষের নাম, লিঙ্গ, জন্মের তারিখ ও স্থান, বাবা-মায়ের নাম, তাদের জাতীয়তা এবং স্থায়ী ঠিকানা নির্ধারিত নিবন্ধক কর্তৃক রেজিস্টারে লেখা বা কম্পিউটারে এন্ট্রি প্রদান এবং জন্ম সনদ প্রদান করা।
এক কথায় বলতে গেলে, একটি শিশু জন্মের পর সরকারি খাতায় নাম যুক্ত করাকেই বলা হচ্ছে জন্ম নিবন্ধন। আর জন্ম সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে যে সনদে, তাকে বলা হচ্ছে জন্ম সনদ।
জন্ম নিবন্ধন কি কি কাজে লাগে
জন্ম নিবন্ধন এর বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে। নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন কাজে লাগেঃ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি
জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তি
পাসপোর্ট ইস্যু
বিবাহ নিবন্ধন
ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু
ভোটার তালিকা প্রণয়ন
ব্যাংক হিসাব খোলা
সরকারী, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ
জমি রেজিস্ট্রেশন
গ্যাস, পানি, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি
টিআইএন বা ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার প্রাপ্তি
ঠিকাদারি লাইসেন্স প্রাপ্তি
ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি
বাড়ির নকশা অনুমোদন প্রাপ্তি
গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্তি
আমদানী ও রপ্তানি লাইসেন্স প্রাপ্তি
জন্ম নিবন্ধন সনদ এর জন্য কি কি লাগে
জন্ম নিবন্ধ সনদ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। জন্ম নিবন্ধন সনদ পেতে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে জন্মগ্রহণ করে থাকলে সেখান থেকে প্রদত্ত সার্টিফিকেট বা ছাড়পত্র ব্যবহার করে জন্ম নিবন্ধন সনদ পাওয়া যাবে। এছাড়াও এস.এস.সি সনদ এর ফটোকপি, পাসপোর্টের ফটোকপি, আইডি কার্ডের ফটোকপি বা এলাকার জনপ্রতিনিধি, যেমন- ওয়ার্ড কমিশনার, ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভার চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব সনদ এর ফটোকপি ব্যবহার করেও জন্ম নিবন্ধন সনদ নেওয়া যায়।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড কপি ডাউনলোড করতে বা জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে অর্থাৎ প্রদত্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন তথ্য ব্যবস্থা বা Online BRIS ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করা যাবে।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড বা জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি চেক করার নিয়ম নিম্নরুপঃ
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন তথ্য ব্যবস্থা বা Online BRIS ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করতে এখানে ক্লিক করুন
ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশের পর এরকম দেখতে একটি ওয়েবপেজ দেখতে পাবেনঃ
অনলাইন কপি ডাউনলোড কপি ডাউনলোড ওয়েবসাইট
জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে প্রথম খালি বক্সে যার জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই করতে চান, তার জন্ম নিবন্ধন সনদ এ থাকা ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নাম্বার প্রদান করুন
এরপর দ্বিতীয় বক্সে যার জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই করতে চান, তার জন্ম নিবন্ধন সনদ এ থাকা জন্ম তারিখ প্রদান করুন
কারো জন্ম তারিখ যদি ১৯৯০ সালের জানুয়ারীর ১ তারিখ হয়, তবে দ্বিতীয় বক্সটিতে 1990-01-01 এভাবে লিখতে হবে
দুইটি বক্সেই সঠিক তথ্য প্রদান করা হয়ে গেলে Verify বাটনে ক্লিক করুন
Verify বাটনে ক্লিক করার পর যার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে চান, তার জন্ম নিবন্ধনে থাকা তথ্যগুলো স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে
প্রদর্শিত তথ্যগুলো সঠিক কিনা তা যাচাই করে নিন
যদি Verify বাটনে ক্লিক করার পর Matching Birth Records Not Found লেখা আসে, তবে বুঝবেন উল্লিখিত বক্সে দুইটিতে প্রদত্ত জন্ম নিবন্ধন নাম্বার বা জন্ম তারিখ – যেকোনো একটিতে ভূল হয়েছে।
উল্লেখিত পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ করে থাকলে প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী যার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে চেয়েছিলেন, তার জন্ম নিবন্ধন এর তথ্য পেয়ে যাবেন। জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কিত তথ্যসমুহ স্ক্রিনে দেখার পর তা সঠিক কিনা তা নিশ্চিত করা মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করুন।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য “জন্ম তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন” শিরোনামের একটি ওয়েবসাইট রয়েছে। জন্ম নিবন্ধন সংশোধন এর ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করতে এখানে ক্লিক করুন। জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর দুইটি খালি বক্স দেখতে পাবেন।জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ওয়েবসাইট
প্রথম বক্সে জন্ম সনদে থাকা জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ও দ্বিতীয় বক্সে জন্ম সনদে থাকা জন্ম তারিখ প্রদান করুন। সঠিক জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ও জন্ম তারিখ প্রদান করতে সার্ভারে থাকা জন্ম সনদ সম্পর্কিত তথ্য দেখতে পাবেন।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন এর উল্লিখিত ওয়েবসাইটে সঠিক তথ্য দেওয়ার পর জন্ম নিবন্ধন সংশোধন সম্পর্কিত তথ্য স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে। প্রদত্ত তথ্য অনুসরণ করে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন এর আবেদন করতে পারবেন।
জন্ম তথ্য সংশোধনের শর্ত ও নিয়মাবলি
জন্ম সনদে থাকা তথ্যতে ভূল থাকলে জন্ম সনদ সংশোধন করার প্রয়োজন হয়। জন্ম তথ্য সংশোধনের করার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত ও নিয়মাবলি প্রযোজ্য। যেমনঃ
যদি পিতা বা মাতার নাম সংশোধন করার প্রয়োজন পড়ে, সেক্ষেত্রে পিতা বা মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর থাকলে প্রথমে তাদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন এর আবেদন করে তাদের নাম সংশোধন করতে হবে
পিতা বা মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর না থাকলে এবং জন্ম তারিখ ০১/০১/২০০০ এর পূর্বে হলে, জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন করার সময় আপনার পিতা বা মাতার নাম সংশোধন করা যাবে। সেক্ষেত্রে পিতা বা মাতা মৃত হলেও তাদের মৃত্যুর কোন প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে না
পিতা বা মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর না থাকলে এবং পিতা বা মাতা মৃত হলে এবং জন্ম তারিখ ০১/০১/২০০ এর পরে হলে, জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন করার সময় পিতা বা মাতার নাম সংশোধন করা যাবে। সেক্ষেত্রে পিতা বা মাতার মৃত্যুর প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে।
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ওয়েবসাইট
জন্ম নিবন্ধন সনদ আপনার কোন ঠিকানার অফিস থেকে সংগ্রহ করতে চান, তা নির্বাচন করুন। জন্মস্থান, স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমান ঠিকানা থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করা যাবে। পরবর্তী ধাপে প্রদর্শিত পেজে দেওয়া সকল তথ্য সাবধানতার সহিত সঠিকভাবে পূরণ করুন। এভাবে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যাবে।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন সম্পর্কিত নির্দেশনাঃ
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম প্রথমে বাংলায় (ইউনিকোড) ও পরবর্তীতে ইংরেজিতে পূরণের পর প্রয়োজনীয় সম্পাদনা করে সংরক্ষণ বাটনে ক্লিক করুন
সংরক্ষণ বাটনে ক্লিক করলেই আবেদন পত্রটি সংশ্লিষ্ট নিবন্ধক কার্যালয়ে স্থানান্তিরত হয়ে যাবে, আবেদনকারীর আর কোন সংশোধনের সুযোগ থাকবে না
পরবর্তী ধাপে প্রিন্ট বাটনে ক্লিক করলে আবেদন পত্রের মুদ্রিত কপি পাবেন
সনদের জন্য ১৫ দিনের মধ্যে উক্ত আবেদন পত্রে নির্দেশিত প্রত্যয়ন সংগ্রহ করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপিসহ নিবন্ধক অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা জানার ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করতে এখানে ক্লিক করুন। অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমানে অবস্থা জানতে ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করে আবেদনের সময় প্রাপ্ত অ্যাপ্লিকেশন আইডি ও জন্মতারিখ প্রদান করে “দেখুন” চাপলে জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা জানতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড
জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড pdf আকারে ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
জন্ম নিবন্ধন ফরম কোথায় পাওয়া যাবে
সংশ্লিষ্ট নিবন্ধকের কার্যালয়ে বা br.lgd.gov.bd ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে জন্ম নিবন্ধন ফরম ডাউনলোড করা যাবে। জন্ম নিবন্ধন ফরম ডাউনলোড pdf আকারে ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
জন্ম নিবন্ধন ফি
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন এর ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট ফি প্রযোজ্য। জন্ম নিবন্ধন ফি সমুহ নিম্নরুপঃ
বিষয়
ফিসের হার
দেশে
বিদেশে
জন্ম বা মৃত্যুর ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন পর্যন্ত কোন ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন
ফ্রি
ফ্রি
জন্ম বা মৃত্যুর ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন পর হইতে ৫ (পাঁচ) বৎসর পর্যন্ত কোন ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন (সাকুল্যে)
২৫/- টাকা
১ মার্কিন ডলার
জন্ম বা মৃত্যুর ৫ (পাঁচ) বৎসর পর কোন ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন (সাকুল্যে)
৫০/- টাকা
১ মার্কিন ডলার
জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য আবেদন ফি
১০০/- টাকা
২ মার্কিন ডলার
জন্ম তারিখ ব্যতীত নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা ইত্যাদি অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন ফি
৫০/- টাকা
১ মার্কিন ডলার
বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় মূল সনদ বা তথ্য সংশোধনের পর সনদের কপি সরবরাহ