নেটিসের নতুন ৫ টি মডেলের রাউটার বাজারে

নেটিস ব্রান্ডের নতুন চমকপ্রদ ৫ টি মডেলের রাউটার বাজারে নিয়ে এসেছে স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লি:। ২০ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মৌলভীবাজারের দুসাই রিসোর্টে আয়োজিত ‘কানেক্টিং ফর সাকসেস’ শীর্ষক জমকালো লঞ্চিং অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পন্যগুলোকে উন্মুক্ত করা হয়। মডেলগুলো হচ্ছে এন৩, এমডাব্লিউ ৫৩৬০, এন৩ডি, এন৬ এবং মেস এম ৬।

এন৩: এই রাউটারটিতে রয়েছে ডুয়াল ব্যান্ড টেকনোলোজি এবং এর প্রত্যেকটি পোট গিগাবিট হওয়ায় আপনি পাবেন ১০০০ এম্বিপিএস ডেটা ট্রান্সফার স্পিড । এন৩ রাউটারটি দিয়ে বেটার পারফরমেন্স নিশ্চিত করতে এতে ব্যবহার করা হয়েছে ১ গিগাহার্জ এর চিপসেট । ফুল কভারেজ নিশ্চিত করতে রাউটারটিতে ব্যবহার করা হয়েছে সর্বমোট ৪ টি ফিক্সড ৫ ডিবিআই এক্সটারনাল হাই গেইন অ্যান্টনা ।
এমডাব্লিউ ৫৩৬০: যে সব এলাকায় ব্রডব্যান্ড কানেকশন নেই সেই এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবহার উপোযোগী নেটিস ব্রান্ডের নতুন ৪জি এলটিই তথা ইউনিভার্সাল সিম সাপোর্টেট রাউটারটির মডেলটি হলো এমডাব্লিউ ৫৩৬০ । এতে ইনবিল্ট ৫ ডিবিআই হাই গেইন ২টি অ্যান্টেনা রয়েছে । সেই সাথে বক্সে রয়েছে আরো ২টি ডিটাচেবল ৪জি অ্যান্টেনা । সিম কার্ড কনফিগার করা ছাড়াই প্লাগ এন্ড প্লে মাধ্যমে আপনি এই রাউটারটি দিয়ে ইন্টরনেট ব্যবহার করতে পারবেন । শুধু কি তাই আপনি চাইলে ব্রডব্যান্ড লাইনও ব্যবহার করতে পারবেন অনায়াসে।

এন৩ডি: ডুয়াল ব্যান্ড টেকনোলোজি সেই সাথে এসি ১২০০ সিরিজের সেটিস ব্রান্ডের নতুন রাউটাটির মডেল এন৩ডি । বেটার পারফরমেন্স নিশ্চিত করতে এতে ব্যবহার করা হয়েছে বিল্ট ইন সিগন্যাল অ্যাম্পিলিফায়ার সেই সাথে ১ গিগাহার্জ এর চিপসেট । সর্বমোট ৪ টি ফিক্সড ৫ ডিবিআই এক্সটারনাল হাই গেইন অ্যান্টনা ব্যবহার করা হয়েছে ফুল কভারেজ নিশ্চিত করার জন্য। রাউটারটিতে সর্বমোট তিনটি ল্যান পোট রয়েছে , ফলে আপনি ডেস্কটপ পিসি , প্রিন্টার সহ নানাবিধ ডিভাইস কানেক্ট করতে পারবেন।

এন৬: নেটিস ব্রান্ডের নতুন এই রাউটারটি এএক্স সিরিজ হওয়ায় এতে ষষ্ঠ প্রজন্মের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে । ডুয়াল ব্যান্ডের এই রাউটারটি আপনাকে দিবে ৫ গিগাহার্জ এর ক্ষেত্রে ১২০১ এম্বিপিএস এবং ২.৪ গিগাহার্জ এর ক্ষেত্রে ৫৭৪ এম্বিপিএস ব্যান্ডউউথ । ৮৮০ হার্জ এর ডুয়াল কোর চিপসেট, ২৫৬ মেগাবাইট ডিডিআর৩ র্যাম ব্যবহার করায় আপনি পাবেন দূর্দান্ত পারফরমেন্স । এই রাউটারটি মেস নেটওয়ার্ক টেকনোলোজি সমর্থন করে । যার ফলে আপনি খুব সহজেই উচ্চ গতির ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারেন।

মেস এম ৬: মেস নেটওয়ার্ক সম্বলিত নেটিস ব্রান্ডের নতুন রাউটার মেস এম ৬ । ১৮০০ এম্বিপিএস এর এই রাউটারটিতে রয়েছে গিগাবিট ইথারনেট পোট। এছারা ওয়েভ ২ – মু-মিমো / বিম ফোর্মিং সহ থাকছে নানাবিধ সুবিধা । ডুয়াল ব্রান্ডের এই রাউটারটি দিয়ে ৫ গিগাহার্জে ১২০১ এমবিপিএস এবং ২.৪ গিগাহার্জে পাবেন ৫৭৪ এমবিপিএস ব্যান্ডউউথ ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্মার্ট টেকনোলজিস এর ডিসট্রিবিউশন বিজনেস ডিরেক্টর জাফর আহমেদ, চ্যানেল সেলস ডিরেক্টর মুজাহিদ আলবেরুনী সুজন, নেটিস প্রোডাক্ট ম্যানেজার মাসুদ রানা, ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার একেএম ফাহিম এবং হেড অব কমিউনিকেশনস মাহফুজুর রহমান মুকুল সহ সারাদেশ থেকে আগত পার্টনারবৃন্দ।

গ্রাহক না কমলেও কমেছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট-ঘনত্ব

সে দেশে টেলিডেনসিটি সামান্য বাড়লেও দশমিক এক শতাংশ কমেছে ফ্রিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের প্রসার। জুলাইয়ে দেশে ভয়েস ও ইন্টারনেট গ্রাহক মিলিয়ে টেলিঘনত্ব ছিলো ১০৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ। মাস ব্যবাধানে এই হারটা বেড়েছে দশমিক ৫ শতাংশ।

বিটিআরসি’র তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ের টেলিঘনত্বের হার মোবাইল ইন্টারনেটে ৬৬ দশমিক ১৬ এবং ফ্রিক্সড ব্রডব্যান্ডে ছিলো ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

এক মাস আগে জুনে এই হার ছিলো ৬৪ দশমিক ৬৭ এবং ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ওই মাসে দেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো ১২ কোটি ৯ লাখ ৫ হাজার। এর মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিলো ১১ কোটি ৯ লাখ।

তবে জুলাইয়ে এসে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৭ লাখে। এর মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ছিলো ১১ কোটি ৩৬ লাখ।

তবে ব্রডব্যান্ড গ্রাহকের সংখ্যা যথারীতি আগের মাসের মতোই ১ কোটি ৫০ হাজারের অংকে আটকে থেকেছে। কিন্তু কমেছে ইন্টারনেটের টেলিঘনত্ব।

অবশ্য মোবাইল ফোন ব্যবহারকারি ৫ লাখের কিছু বেড়ে পৌঁছেছে ১৭ কোটি ৬৯ লাখ ৪০ হাজারে। এরমধ্যে রবি নতুন করে ৩০ হাজার গ্রাহক হারালেও বাংলালিংককে টপকে রাষ্ট্রায়ত্ব অপারেটর টেলিটকের গ্রাহক বেড়েছে এক লাখ ১০ হাজার। শীর্ষ অপারেটর গ্রামীণফোনের গ্রাহক বেড়েছে সাড়ে চার লাখ। বাংলালিংকের বেড়েছে ১০ হাজার।

‘মোবাইল-নেশা থেকে শিশু কিশোরদের বাঁচাতে হবে’

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেছেন, “শিশু কিশোরদের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাকে এসব আনন্দদায়ক ও আকর্ষণীয় করতে হবে, যেন তারা মোবাইল ও ইন্টারনেটের ধ্বংসাত্মক নেশা থেকে বাঁচতে পারে। বিজ্ঞান শিক্ষা যেন মুখস্ত নির্ভর কিংবা পাঠ্য বইয়ের মধ্যে আবদ্ধ না থাকে। সরকার বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য শত শত কোটি টাকা ব্যয় করলেও তার সুফল আমরা দিতে পারছি না।

তিনি আরো বলেন, শুধু সার্টিফিকেট অর্জন না করে জ্ঞান-বিজ্ঞানকে প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় কাজে লাগাতে পারলে তা দিয়ে বাংলাদেশের বহু সমস্যার সমাধান সম্ভব। এক মহৎ উদ্দেশ্যে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর প্রতিনিয়ত বিজ্ঞান বক্তৃতা, কুইজ, বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে শিশু কিশোরদের সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার অবিরাম প্রচেষ্টায় নিয়োজিত। সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর বিজ্ঞান কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করছে এবং আর্থিক ও বৈষয়িক সাহায্য প্রদান করছে। জীবনের মূল্যবান সময়কে কোনোভাবেই নষ্ট করা যাবেনা। প্রতিটি মুহূর্ত স্রষ্টার সৃষ্টিকে অনুধাবন ও অনুসন্ধান করে বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের মাধ্যমে পৃথিবীর মানুষের জীবনমান উন্নয়নে এবং সমস্যা সমাধানে কাজে লাগাতে হবে।”

গত ২১ অক্টোবর এবং ২৩ অক্টোবর চট্টগ্রাম সেন্ট প্ল্যাসিডস হাই স্কুল এন্ড কলেজ, শাহ ওয়ালীউল্লাহ ইনস্টিটিউট এবং রিসার্চ ল্যাব চট্টগ্রামের শিক্ষার্থী ও তরুণ বিজ্ঞানীদের সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। এসব অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিজ্ঞান ক্লাবকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়ন ট্রাস্ট থেকে বিজ্ঞান সামগ্রী ক্রয় করার জন্য মোট ৩ (তিন) লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

সুত্র- digibanglatech