ফেসবুক হয়ে গেল ‘মেটা’ বিরাট ঘোষণা মার্ক জুকারবার্গের
Facebook Name Change-:
দীর্ঘ ১৭ বছরের যাত্রার অবসান। ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পথচলা শুরু করেছিল ফেসবুক (Facebook)। একে অপরের সঙ্গে ভাব আদানপ্রদানের মাধ্যম হিসাবে শুরু হয়েছিল এই সংস্থা। ধীরে ধীরে তা মানুষের নিত্য জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে ওঠে। ফেসবুক (Facebook) বর্তমানে কর্ম সংস্থানের ক্ষেত্রেও এক গুরুত্বপূর্ণ নাম। এছাড়াও বিপণনের ক্ষেত্রেও ফেসবুক (Facebook) এক অন্যতম মাধ্যম। কেবল চ্যাটিং বা ফটো আপলোডিং-এর (Photo Uploading) মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই ফেসবুক। এছাড়াও আরও নানা ধরনের পরিষেবার দিকে এগিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ফেসবুক (Facebook)। সেইসঙ্গে কর্পোরেট সংস্থার কাজের সঙ্গেও বর্তমানে যুক্ত এই ফেসবুক সংস্থা। একটি সাধারণ সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) প্ল্যাটফর্ম হিসাবে যাত্রা শুরু করলে ও বর্তমানে এই সংস্থার অধীনে রয়েছে একাধিক সংস্থাও। বর্তমানে ইনস্টাগ্রাম (Instagram), মেসেঞ্জারের (Messenger) মতো শাখার পাশাপাশি মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ও এই মুহূর্তে ছিল ফেসবুকের অধীনস্থ। সেই কারণেই ফেসবুক সংস্থার নাম বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মার্ক জুকারবার্গ (Mark Zukerberg)। যদিও এই বিষয়ে স্পষ্টত কোনো কথা তিনি জানান নি। তবে জল্পনা ওঠে যে ফেসবুক (Facebook) সংস্থার বার্ষিক কনফারেন্সেই নাম বদল করতে পারে ফেসবুক (Facebook)। অবশেষে সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নাম বদল করলো ফেসবুক, নতুন নাম হল মেটা (Meta)।
নাম বদলের খবর প্রকাশ্যে এনেছেন খোদ মার্ক জুকারবার্গ (Mark Zukerberg) নিজেই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে একটি পোস্ট করে মার্ক লেখেন ‘আমাদের কোম্পানির জন্য সম্পূর্ণ এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করতে চলেছি আমরা। বর্তমান সমত্যে প্রযুক্তি মানুষকে শিখিয়েছে কীভাবে আরও নতুন করে নিজেকে বিকশিত করা যায়। আমি যখন ফেসবুকের যাত্রা শুরু করেছিলাম তখন আমাদের অধিকাংশ মানুষই ওয়েবসাইটে (Website) টেক্সট টাইপ করতাম। তবে ধীরে ধীরে প্রযুক্তি উন্নত হয়েছে। আমরা ডেস্কট্রপ (Desktrop) থেকে মোবাইলের (Mobile) দুনিয়ায় এসে পৌঁছেছি। তবে বিস্তারের পথ এখানেই শেষ নয়।’ অর্থাৎ উন্নতকে আরও করে তৈরী করার তাঁর লক্ষ্য। পোস্টের মাধ্যমে মার্ক জানান যে তিনি ক্লাসিকস পড়তে ভালোবাসেন, এবং তাঁর নতুন কোম্পানির নাম ‘মেটা’ শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ‘বিয়ন্ড’ (অনন্ত) থেকে। সুতরাং এই শব্দ বেছে নেওয়ার পিছনে কারণ ও ‘আরও অনেক কিছু তৈরি করা বাকি। আমাদেরও পথচলার অনেক নতুন পথ বাকি’। সেই ধারণা থেকেই এই নামকরণ করেছেন মার্ক।